পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও শহীদুল হককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি।
Advertisement
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিবিপ্রধান রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন ও শহীদুল হকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হয়েছে। তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুলিশের আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। আইজিপি পদে পদোন্নতি পাওয়ার আগে তিনি সচিব পদমর্যাদায় বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অপারেশন) হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।
Advertisement
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়ার পর শহীদুল হক দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। তবে মনোনয়ন পাননি।
সেসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান এবং কর্মজীবনে জঙ্গি দমন, হেফাজতের বিশৃঙ্খলা দমন, পেট্রলবোমা সন্ত্রাস দমনে অনেক কাজ করেছেন। তাই তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন।
শহীদুল হকের ছোট ভাই ইসমাইল হক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। অভিযোগ আছে, আইজিপির দায়িত্বে থাকার সময় শহীদুল হক ছোট ভাইয়ের নির্বাচনে প্রচারের জন্য পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশের আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ আছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গত ৬ আগস্ট আইজিপি থেকে তাকে অবসরে পাঠানো হয়।
Advertisement
এর আগে চৌধুরী আবদুল্লাহ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) মহাপরিচালক ছিলেন। এছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ছিলেন। র্যাবের ডিজি থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
টিটি/এমআইএইচএস