গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার করতে হবে। কমিশনকে অবশ্যই স্বাধীন করতে হবে। এই দাবি আমরা আগে থেকেই জানিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে আমরা উপদেষ্টার কাছে বৈঠক করে বলেছি কমিশন সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে কোনোদিনই বাংলাদেশে সঠিক ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ আরও বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের সংস্কার দাবি করছি। এই নির্বাচন কমিশন যেভাবে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করেছে তাদের দিয়ে সঠিক নির্বাচন হবে না। আগামীতে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে যেসব দল শর্ত পূরণ না করে আগে নিবন্ধন পেয়েছিল তাদের নিবন্ধনও বাতিল করতে হবে। বিএনএম, সুপ্রিম পার্টিসহ কিছু ভুঁইফোঁড় সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। যে কোনো ভুঁইফোঁড় দল এসে নিবন্ধন চাইবে এটা তো হতে পারে না। সুতরাং যারা শর্ত পূরণ করবে না তাদের কোনোভাবেই নিবন্ধন দেওয়া যাবে না।
Advertisement
আরও পড়ুন
রাজনৈতিকভাবে যারা নির্যাতন করেছে, আমরা তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি জননিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের চিহ্নিত করে অচিরেই অভিযান পদত্যাগ করলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারআওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এ এস এম কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণফোরামে যোগ দেন। হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে রেজা কিবরিয়া এমপি নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন নিতে ইসিতে দৌড়ঝাঁপ করছেন।
রেজা কিবরিয়ার সমালোচনা করে রাশেদ খান বলেন, রেজা কিবরিয়া আমাদের দলের কেউ নন। তিনি নিবন্ধনের নামে ইসিতে তাণ্ডব চালিয়েছেন। আমরা সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি রেজা কিবরিয়ার লোক অবরুদ্ধ করে রেখেছে তাকে। একজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সচিবের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। সেই সাংবাদিককে গ্রেফতার করতে হবে। সচিবের রুমে সেই সাংবাদিক সচিবকে গালিগালাজ করেছে। সাংবাদিক পরিচয়ে যারা সচিবের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে তাকে গ্রেফতার করা হোক।
তিনি আরও বলেন, গণঅধিকার পরিষদ নিবন্ধন পেয়েছে। আমরা দেখেছি একই নামের ক্ষেত্রে কিছু জুড়ে দিয়ে কোনো গোষ্ঠী একই নামে নিবন্ধন নিতে চাই। তাদের প্রতিহত করা হবে। তারুণ্য নির্ভর আমাদের একটা দল নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলুক আমরা চাই না। যারা এটা করবে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।
Advertisement
রাশেদ খান বলেন, গতকাল নিবন্ধন পেয়েছি সব শর্ত পূরণ করেছি। ফ্যাসিবাদ হাসিনার চাপে এর আগে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। ডিজিএফআই বলেছিল হাসিনার অধীনে ভোটে আসতে আমরা আসিনি।
তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ দেশের কল্যাণে সব শর্ত পূরণ করে কাজ করে যাচ্ছে। গণঅধিকার পরিষদ ২০১৮ সালে আন্দোলনের যে বীজ বপন করেছিল তার ফল পেয়েছি ২০২৪ সালে।
নিবন্ধন দেওয়ার জন্য ইসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, বাংলাদেশকে আমেরিকা ও ইউরোপের মতো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আসুন সবাই মিলে এই সরকারকে সহযোগিতা করি। গণঅধিকার পরিষদ রাষ্ট্র সংস্কারে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
এমওএস/এমআরএম/এমএস