খেলাধুলা

অবসরের চিন্তা মাথায় আসেনি রোনালদোর!

বয়স ৩৯। এখনো ফুটবল মাঠে নিজেকে তরুণ মনে করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ক্লাব কিংবা জাতীয় দল- প্রায় প্রতি ম্যাচেই দেখা যায় পর্তুগালের এই ফুটবল কিংবদন্তিকে। ফর্ম খারাপ কিংবা ভালো এসব নিয়ে যেন মোটেই ভাবেন না তিনি। যেকোনো পরিস্থিতিতে ফুটবলের মাঠে থাকাই যেন তার একমাত্র লক্ষ্য-উদ্দেশ্য।

Advertisement

সর্বশেষ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে হারে পর্তুগাল। এতে ইউরোতে ব্যর্থ মিশন শেষ হয় পর্তুগিজদের। এরপরই অনেক ভক্ত ভেবেছিলেন, জাতীয় দলের জার্সিতে আর দেখা যাবে না রোনালদো। কিন্তু না। প্রায় ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও অবসর শব্দটি উচ্চারণও করেননি পর্তুগিজ তারকা।

গতকাল সোমবার রোনালদোকে দলে রেখেই উয়েফা ন্যাশনস লিগের দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করে পর্তুগাল। এরপর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে আসেন রোনালদো। সেখানে আবারও তাকে অবসর নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে রোনালদো তো সবাইকে অবাকই করে দিলেন।

রোনালদো জানান, অবসরের কথা মাথায়ই আনেননি তিনি। যেসব গুঞ্জন উঠেছে, সবই গণমাধ্যমেরই তৈরি বলেও দাবি করেন পর্তুগিজ তারকা।

Advertisement

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে রোনালদো বলেন, ‘এটা (অবসরের বিষয়) সবই সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে এসেছে। এটা আমার মাথায় আসেনি যে (পর্তুগালের সঙ্গে) আমার চক্র শেষ হয়ে গেছে। বরং এটি পুরোপুরি বিপরীত। আমাকে সৎ থাকার জন্য এটি (গুঞ্জন) আরো বেশি প্রেরণা দিয়েছে।’

‘অনুপ্রেরণা হলো, ন্যাশনস লিগ জেতার জন্য জাতীয় দলে আসা। আমরা ইতিমধ্যে এটি একবার জিতেছি এবং আবার জিততে চাই। আমি একই কথা বারবার বলতে পারি। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করি। এটি (অবসরের কথা বলা) সর্বদা স্বল্পমেয়াদী।’

ন্যাশনস লিগের ২০১৮-২০১৯ আসরে রোনালদোর নেতৃত্বে শিরোপা জিতেছিল পর্তুগাল। এর তিন বছর পর ইউরো শিরোপাও জিতে পর্তুগিজরা। তবে ইউরোতে শেষ আশা পূরণ হয়নি রোনালদোর।

রোনালদো আরও বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের শেষ অবধি এই মানসিকতা রাখবো যে, মনে হয় আমি কেবল তরুণ হিসেবে খেলা শুরু করেছি।এই মুহূর্তে আমি যা অনুভব করছি এবং কোচের (রবার্তো মার্টিনেজ) কথায়ও সেটি প্রমাণ করে। আমি জাতীয় দলের সম্পদ হিসাবে আছি। যদি তা না হয়, তবে আমিই প্রথম তা স্বীকার করবো।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি (আর সম্পদ থাকবো না) আমিই সর্বপ্রথম ত্যাগ (দল) করবো। কিন্তু আমি সবসময়ের মতো একটি পরিষ্কার বিবেক নিয়ে যাবো। কারণ আমি জানি, আমি কে, আমি কী করতে পারি এবং আমি কী করবো।

এমএইচ/জেআইএম