আইন-আদালত

ড. ইউনূসের আবেদনের শুনানি ২১ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তাদের করা (লিভ টু আপিল) আবেদনের শুনানি ২১ অক্টোবর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

Advertisement

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ শুনানি মুলতবি করেন।

আদালতে এদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তানভীর শিহাব খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য ছয় আপিলকারী হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

Advertisement

গত ২৪ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে এক বছরের মধ্যে এই মামলার বিচার শেষ করতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে গত ১১ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যদের বিরুদ্ধে করা এই মামলা ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী প্রত্যাহারে ‘দুদকের আবেদন’ মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন নিয়ে আপিল বিভাগে আসেন।

দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

Advertisement

গত ১২ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই দিন ধার্য রাখেন। একপর্যায়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ সাত কর্মকর্তা। এই আবেদন গত ২৪ জুলাই খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/ইএ/এমএস