খেলাধুলা

পাকিস্তানের মাটিতে যেখানে প্রথম হাসান মাহমুদ

টেস্ট খেলার মর্যাদা পাওয়ার পরের বছরই, ২০০১ সালের আগস্টে প্রথম পাকিস্তান সফরে যায় বাংলাদেশ। সেবার ১ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে চলে আসে টাইগাররা। স্বাভাবিকভাবেই ওয়াসিম-ওয়াকার-ইনজামাম-মোহাম্মদ ইউসুফদের পাকিস্তানের কাছে ওই ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে নাইমুর রহমান দুর্জয়ের দল।

Advertisement

এরপর আরও দু’বার টেস্ট খেলার জন্য সফরে গিয়েছিলো টাইগাররা। এবার নিয়ে তৃতীয়বার। ২০০৩ সালেই পাকিস্তানের বিপক্ষে বল হাতে কারিশমা দেখিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। ৫ উইকেট করে নিয়েছিলেন ২ বার। পেশোয়ারে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে একবার এবং মুলতানে শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে একবার ৫টি করে উইকেট নেন এই টাইগার স্পিনার।

এরপর ২০২০ সাল পর্যন্ত আর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলতে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। ২০২০ সালে ২ টেস্টের পর এবারও ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে গেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

পাকিস্তানের মাটিতে এবারই প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতলো টাইগাররা। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

Advertisement

দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেই মিরাজ নিলেন ৫ উইকেট। পাকিস্তান অলআউট ২৭৮ রানে। রাওয়ালপিন্ডির অনার্সবোর্ডে নিজ হাতে নিজের নাম লিখলেন মিরাজ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আর কোনো স্পিনার নয়, ৫ উইকেট নিলেন একজন পেসার।

হাসান মাহমুদ। ১০.৪ ওভার বল করে ৪৩ রান দিয়ে নিলেন ৫ উইকেট। শুধু নিজের ক্যারিয়ারেই প্রথম নয়, প্রথম বাংলাদেশি পেসার হিসেবেও পাকিস্তানের মাটিতে ৫ উইকেট নিলেন তিনি।

সবচেয়ে মজার বিষয়, হাসান মাহমুদের বলে যে ৫ পাকিস্তানি ব্যাটার উইকেট দিয়ে এসেছেন, তাদের প্রতিজনই ক্যাচ দিয়েছেন স্ট্যাম্পের পেছনে। ৩টি ছিল কট-বিহাইন্ড, অর্থ্যাৎ উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। বাকি দুটি ছিল প্রথম স্লিপে ক্যাচ।

দুর্ভাগ্য নাহিদ রানার। ৫ উইকেট পেতে পারতেন তিনিও। কিন্তু তাসকিন আহমেদ একটি উইকেটে ভাগ বসানোয় নাহিদ রানা নিতে পারলেন ৪ উইকেট।

Advertisement

আইএইচএস/