মাহবুব আলী খানশূর, যুক্তরাজ্য
Advertisement
যুক্তরাজ্যে নির্বাচনের দিন ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমপি রুশনারা আলীর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোয় তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। বাংলাদেশি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে গত ৪ জুলাই ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনের দিন এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার ওই তিন ব্রিটিশ বাংলাদেশি স্থানীয় বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের ঘটনার বিবরণ জানাতে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাইহান ইসলাম, হোসেইন ও ফয়সল আহমদ নামে ওই তিন বাংলাদেশি জানান, স্থানীয়ভাবে তারা ফিলিস্তিন সমর্থিত অ্যাক্টিভিস্ট, যারা ‘টাওয়ার হ্যামলেটস থ্রি’ নামে পরিচিত। বাকস্বাধীনতার অধিকার হিসেবে তারা বর্তমান লেবার পার্টির এমপি রুশনারা আলীর বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। তারা একটি মোবাইল ডিজিটাল বিলবোর্ড ব্যবহার করে এমপি প্রার্থী রুশনারা আলীর ফিলিস্তিন সম্পর্কিত নেতিবাচক ভোটিং রেকর্ডের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করছিলেন।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও জানান, ‘ভোটারদের ভীতি’ এবং ‘ভোটারদের অযথা প্রভাবিত করার’ অভিযোগে তাদের ১২ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল। তবে পুলিশ পরে স্বীকার করে, বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণ তাদের হাতে নেই এবং তারপরেই ওই অভিযোগগুলো বাতিল করা হয়।
এদিকে গ্রেফতারের পর রুশনারা আলী বিবিসিতে তার নির্বাচনী এলাকার মানুষকে হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিন সমর্থিত অ্যাক্টিভিস্ট ওই তিন তরুণ রুশনারা আলীর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
তারা বলেন, রুশনারার ওই অভিযোগের কারণে এমপি এবং তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও দুর্বল হবে।
ফিলিস্তিন সমর্থিত অ্যাক্টিভিস্টদের গ্রেফতারের সময়ে প্রায় ৪০০ স্থানীয় বাসিন্দা বেথনাল গ্রিন পুলিশ স্টেশনের বাইরে তাদের মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেন। এই গ্রেফতার স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। অনেকে এই ঘটনাকে ভিন্নমত দমনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘টাওয়ার হ্যামলেটসে লেবার পার্টি জনবিচ্ছিনতার প্রমাণ দিয়েছে। কারণ, রুশনারা আলীর জনপ্রিয়তা ৩৭ হাজার থেকে নেমে মাত্র প্রায় ১৬ হাজারে পৌঁছেছে।’
Advertisement
অন্যদিকে ফিলিস্তিন সমর্থক প্রার্থী আজমল মাশরুরের জনপ্রিয়তা বোটে প্রমাণ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার। কিন্তু দুঃখের বিষয়, লেবার পার্টি দাবি করে তারাও বাসিন্দাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন। আমরা মনে করি টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দারা ন্যায়-বিচার, সমতা এবং মুক্ত অভিব্যক্তির অধিকারের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এমআরএম/এমএস