কুড়িগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আশিকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় উলিপুর উপজেলার বুড়া-বুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
Advertisement
এর আগে আশিকের মরদেহ দেখতে ও জানাজায় অংশ নিতে ঢল নামে মানুষের। স্থানীয় ইমাম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম জানাজায় ইমামতি করেন।
আশিক উপজেলার বুড়া-বুড়ি ইউনিয়নের ব্যবসায়ী মো. চাঁদ মিয়ার ছেলে। দুই ছেলের মধ্যে বড় তিনি। ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় মাথায় ইটের আঘাত পান তিনি। পরে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টানা ২৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে রোববার দুপুরে মারা যান আশিক।
আশিকের ভাই আতিকুর রহমান বলেন, আমরা দুই ভাই কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। ৪ আগস্ট আমি ও ভাই ছাত্র আন্দোলনে কুড়িগ্রাম যাই। কুড়িগ্রাম শাপলা চত্বর এলাকায় আমরা হামলার শিকার হই। বড় ভাইয়ের মাথায় ইটের ঢিল লাগে। প্রথম দিন তেমন গুরুত্ব দেই নাই। পরে বমি শুরু হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পাঠানো হয়। সেখানেই মারা যায় ভাই।
Advertisement
ফজলুল করিম ফারাজী/জেডএইচ/জিকেএস