সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদসহ ১৮ পুলিশের বিরুদ্ধে নোয়াখালী আদালতে চাঁদাবাজি-নির্যাতনের মামলা করেছেন যুবদলের এক নেতা।
Advertisement
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহী ভূঁইয়া মামলাটি জুড়িসিয়াল তদন্তের জন্য চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিজিএম) নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজীম সুমন আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ।
Advertisement
মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাবেক স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সাইফুল ইসলাম, নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, তৎকালীন জেলা ডিবির পরিদর্শক মো. সাবজেল হোসেন, চৌমুহনী ফাঁডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জামাল হোসেন, বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন ও মোস্তাক আহমেদ এবং সিআইডির পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন। এছাড়া ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আবদুর রহিম চুন্নু বলেন, আসামিরা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে সাধারণ জনগণের নাগরিক অধিকার হরণসহ বিনাদোষে আটক করে ক্রসফায়ারে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করেছেন। তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
মামলার অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, মঞ্জুরুল আজীম সুমন জেলা যুবদলের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। গত ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর আসামিদের যোগসাজশে বাদীকে মিথ্যা মন্দির ভাঙার মামলায় রাঙ্গামাটি থেকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। পরে আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদের নামে অকথ্য নির্যাতন করে এবং ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে বাদীর আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে এক কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেন।
এ বিষয়ে মঞ্জুরুল আজীম সুমন বলেন, আমি বিনাদোষে আটমাস জেলে ছিলাম। বের হওয়ার পর আসামিরা বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকিতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি। এখন ন্যায়বিচারের আশায় আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির দাবি জানাই।
Advertisement
ইকবাল হোসেন মজনু/আরএইচ/জিকেএস