ভারত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্যে বাংলাদেশের মিলিটারি পাওয়ার ও ইসলামি মূল্যবোধ ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সামরিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক কর্নেল (অব.) আব্দুল হক।
Advertisement
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্স (বিপিডি) আয়োজিত ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আব্দুল হক বলেন, বিডিআর বিদ্রোহে শহীদদের কাতারে আমিও থাকতাম। ২০০৮ সালে হঠাৎ আমাকে বিডিআরের কমান্ডার বানানো হয়। এরপর আবার এই পোস্টিং ক্যান্সেল হয়ে যায়। আমার জায়গায় কর্নেল গুলজারের পোস্টিং হয়। পরে গুলজারসহ ৫৭ জন সেনা অফিসারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আমাদের ছোট্ট একটি দেশ। ৪৭ এর পর থেকে ভারত চেয়েছে তাদের সংস্কৃতি ও শক্তি দিয়ে আমাদেরকে তাদের পেটের মধ্যে ভরে রাখতে। তারা শেখ হাসিনার সাহায্যে আমাদের মিলিটারি পাওয়ার ও ইসলামি মূল্যবোধ- দুইটাই ভেঙে দিয়েছে।
দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা করে পিলখানা হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা জড়িত ছিলেন। সঠিক তদন্ত হলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। পিলখানায় বিডিআর হত্যার প্রতিবাদ করায় হাসিনা সরকার আমাকে চাকরিচ্যুত করেছে।
Advertisement
তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড ভারতের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ ছিল। এই হত্যাকাণ্ড কোনো স্বাভাবিক হত্যা ছিল না। পুরো দেহকে ছিন্নভিন্ন করার পরে ব্রাশফায়ার করা হয়েছে।
এই সামরিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, শেখ হাসিনার মতো এত বড় স্বৈরাচার পৃথিবীতে আর নেই। হাসিনা যদি আবারও ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশ একবারেই ভারতের পেটে চলে যাবে।
এ সময় ছাত্র আন্দোলনে নিহত জাবির ইব্রাহিমের বাবা কবির হোসেন বলেন, আমার আদরের সন্তান জাবির ইব্রাহিম ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে মারা যায়। এই ছাত্র আন্দোলন এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ডে যারা নিহত হয়েছে এটার মূল আসামি হচ্ছে শেখ হাসিনা।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব মানুষ ছাত্র আন্দোলনে মারা গেছে তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
Advertisement
আরএএস/ইএ/জিকেএস