সব সরকারি কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
Advertisement
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার এক মাস না যেতেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার উদ্যোগ নিলো অন্তর্বর্তী সরকার।
‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ অনুযায়ী পাঁচ বছর পরপর সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী দাখিল এবং স্থাবর সম্পত্তি অর্জন বা বিক্রির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। বছরের পর বছর সম্পদের হিসাব না দেওয়ার জন্য সরকারি কর্মচারীদের কোনো জবাবদিহি ছিল না বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। যদিও টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় ছিল এ সরকার।
কয়েক দফা সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি।
Advertisement
আরও পড়ুন
নাফিজ সরাফত ও তার স্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু রেজাউল-মন্নুজানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদকআওয়ামী লীগ চতুর্থ দফা সরকার গঠনের পর কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার দুর্নীতি প্রকাশিত হয়। তখন প্রশাসনের দুর্নীতির বিষয়টি সর্বমহলে খুবই আলোচিত হয়।
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় গত ২ জুলাই ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’ কার্যকর করে সরকারি কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সম্পদ হিসাব নিশ্চিতের জন্য নির্দেশনা দেন উচ্চ আদালত।
এর আগে গত ৪ জুলাই ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা যুগোপযোগী করে নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
Advertisement
এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিন গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। পরে ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।
আরএমএম/ইএ/জিকেএস