জাতীয়

রেজাউল-মন্নুজানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি মন্নুজান সুফিয়ানের এপিএস ও ছোটভাই মো. সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয় ও বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবীর দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

Advertisement

রোববার (১ সেপ্টেম্বর ) কমিশন থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পাঁচজনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে পিরোজপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। ২০১৮ সালেও একই আসন থেকে হয়েছেন নির্বাচিত হন তিনি। তখন তিনি প্রথমে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী, পরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন পিয়ন ও দেহরক্ষীকে টাকা না দিলে দেখা মিলতো না শেখ সেলিমের সোনালী লাইফের টাকায় আইডিআরএ সদস্যের সপরিবারে বিদেশ ভ্রমণ! আওয়ামী সরকারের উন্নয়ন প্রচারের নামে লুটপাট

শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। পিরোজপুরের নাজিরপুর ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার সময়ে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন নামক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রশিক্ষণের নামে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া তিনি দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, শ ম রেজাউল করিম দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজ নামে এবং তার পোষ্যবর্গের এবং আত্মীয়-স্বজনের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অনুসন্ধান অনুমোদন করেছে দুদক।

অন্যদিকে মন্নুজান সুফিয়া ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের টিকেট পাননি। অভিযোগ আছে, মন্নুজান তার এপিএস ছোটভাই মো. সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেল ইয়াছির আরাফাত পৃথিবী ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

Advertisement

এছাড়া নিজ নামে ঢাকার উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে রাজউকের ৫ কাঠা জমি, সাহেববাড়ি রোড, মহেশ্বর পাশা, দৌলতপুর, খুলনায় ৩ তলা বাড়ি, দুটি গাড়ি, কেডিএ, মৌথুরী হাউজিংয়ে ১৬.০৭ কাঠা জমি কিনেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতির মাধ্যমে তার এপিএস ছোটভাই সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবী কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

এসএম/এমএমএআর/জিকেএস