সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। সার্বিক শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিললেও বিপরীত চিত্র দেখা গেছে ব্যাংক খাতে। তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম কমেছে।
Advertisement
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে এ বাজারটিতেও সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। ডিএসইর মতো এ বাজারটিতেও ব্যাংকের শেয়ার দাম কমেছে। দুই বাজারে মূল্যসূচক বাড়লেও লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান সূচক এক পর্যায়ে ৬১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের মাঝপথে এসে একের পর এক ব্যাংকের শেয়ার দাম কমতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকে।
ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়লেও সূচকের বড় উত্থান হয়নি। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ২৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক খাতের মাত্র ৭টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১টির।
Advertisement
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮২৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১২৮ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯৩৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯৬৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ২৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৮৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এমজেএল বাংলাদেশের ৬৩ কোটি ৫১ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে অলিম্পিক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- গ্রামীণফোন, শাহজিবাজার পাওয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক, অগ্নি সিস্টেম, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেস্ট হোল্ডিং এবং লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
Advertisement
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১০৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৫টির এবং ১৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
এমএএস/এমকেআর/জিকেএস