একসময় চিঠিই ছিল আমাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। কালের বিবর্তনে চিঠি লিখতে ভুলে গেছে মানুষ। যোগাযোগের নানাবিধ উপকরণের কারণে বিলুপ্ত হয়ে গেছে চিঠি লেখার প্রচলন। আজ বিশ্ব চিঠি দিবস। দিবসটিকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা স্মৃতিচারণ করছেন নেটিজেনরা।
Advertisement
জনপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইন কবিতার আকারে লিখেছেন, ‘ঠিকানা লিখে যে আকাশে ওড়াই, আকাশ কি আর জানে?/ ঠিকানা লেখার মানে!/ কোথাও বাজলে মেঘের নূপুর,/ পদ্মপাতায় বিষাদ দুপুর,/ জলের আয়না মুছলে কাজল কেঁদেছে যে অভিমানে,/ হাওয়াদের কানে কানে।/ তার কাছে যদি ঠিকানাটা যায়,/ জমেছে যে দুঃখ বেলা অবেলায়,/ তার সবটুকু চিঠি হয়ে যদি আসে কোনো অঘ্রাণে,/ উদাসী পাখির গানে!’
কথাশিল্পী ফরিদুল ইসলাম নির্জন লিখেছেন, ‘চিঠি দিবসে অনলাইনে চিঠি দিতে চাই আপনার কমেন্টের রিপ্লাইয়ে। এজন্য সহজ একটি কাজ করতে হবে। কমেন্টে এক লাইন লিখুন আমার সম্পর্কে?’
আরও পড়ুন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি পৌলমী বাবা ডাকবে কাকে!সাংবাদিক রেজা শাহীন লিখেছেন, ‘চিঠি নয়, তোমার দুখানা হাত চাই।’ আরেক সাংবাদিক আবু সালেহ মুসা লিখেছেন, ‘ক্লাস এইটে বসে এক মেয়ে আমাকে চিঠি দিয়েছিল। যা এখনো আব্বুর কাছে।’
Advertisement
কবি ও গল্পকার মাঈন উদ্দিন আহমেদ ছোট করে চিঠি লিখেছেন, ‘নিমি, ইচ্ছে করে তোমার ঠিকানায় লম্বা লম্বা চিঠি পাঠাই। ইতি কবি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল বিন এনসার লিখেছেন, ‘চিঠি না দিলে বন্ধু কথা কইয়ো না।’ আসিফ আহমেদ লিখেছেন, ‘যারা চিঠি পান নাই, তারা মন খারাপ কইরেন না। আমিও পাই নাই...’
হাস্যরসাত্মক মেজাজে মো. শাহ জামান লিখেছেন, ‘ছোটবেলায় যারে যারে চিঠি লিখে দিছি, কারো প্রেম টিকে নাই। এমনকি আমারটাও না।’
এসইউ/জিকেএস
Advertisement