ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নাটকীয় টাইয়ের পর টানা দ্বিতীয় জয় তুলে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এল দলটি। কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমীকে ৫ উইকেট হারিয়েছে নাদিফ চৌধুরীর দল। কলাবাগানের দেওয়া ২৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো সূচনা পায় ভিক্টোরিয়া। দলীয় ৩১ রানে ওপেনার ফজলে মাহমুদের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আরেক ওপেনার আব্দুল মজিদের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক। এরপর আলমিনের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়ে আবু জায়েদের বলে সাজঘরে ফেরেন মজিদ।এরপর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারালে কিছুটা চাপে পরে ভিক্টোরিয়া। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ধীমান ঘোষকে সঙ্গে অপরাজিত ৬৪ রানের জুটি গড়ে ১১ বল বাকি থাকতেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরী। ৯২ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন মজিদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস আসে আল-আমিনের ব্যাট থেকে। ৫২ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া মুমিনুল ৩৫, ধীমান ৩২ ও নাদিফ ২৯ রান করেন। কলাবাগানের পক্ষে আবু জায়েদ রাহী ৫৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট পান।এর আগে বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমী। দুই ওপেনার মাইশুকুর রহমান ও ইরফান শুক্কুরের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৮১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। এরপর মাইশুকুর ফিরে গেলে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে ৭২ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন ইরফান। তবে দলীয় ১৫১ রানেই সাজঘরে ফিরে যান এ দুই ব্যাটসম্যান। এরপর মোহাম্মাদ আরাফাত ও নুরুজ্জামানের সঙ্গে দুটি জুটি গড়েন দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিয়ানক মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান করতে সক্ষম হয় তারা।দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন ইরফান শুক্কুর। ১১৬ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন মিরাজ। ৪৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক। এছাড়া মাহমুদুল ৩১, নুরুজ্জামান ৩০, মাইশুকুর ২৭ ও আরাফাত ২৩ রান করেন। আরটি/আরআর/এবিএস
Advertisement