সোশ্যাল মিডিয়া

শিক্ষক ও চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে শিক্ষণীয় গল্প

৩০ আগস্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে ঘুরছে একটি গল্প। গল্পটি বিখ্যাত অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন ও তার শিক্ষককে নিয়ে। শিক্ষণীয় গল্পটি অনেকেই শেয়ার করেছেন টাইমলাইনে। তবে গল্পের সত্যতা বা সূত্র নিশ্চিত করা যায়নি। গল্পটি এরকম—

Advertisement

স্যার কড়া ধমক দিয়ে ছাত্রকে বললেন, এদিকে আয়। বল, আমাদের শরীরে কয়টা কিডনি আছে?ছাত্র: চারটা স্যার।এমন বোকার মতো জবাব শুনে ক্লাসের ছাত্ররা হাসে।স্যার বললেন, হাসি থামা। এই যে ফার্স্ট বয়। তুমি দাঁড়াও। ফার্স্টবয়: স্যার, কয়টা কিডনি আছে বলবো। নাকি বেত নিয়ে আসবো? স্যার: কয়টা কিডনি আছে বলতে হবে না। বেতও নিয়ে আসতে হবে না। কিছু ঘাস নিয়ে আসো। ফ্রেশ তাজা ঘাস।ফাস্টবয়: ঘাস দিয়ে কী হবে স্যার?স্যার: ক্লাসে একটা গাধা আছে। ওকে খেতে দেবো।

আরও পড়ুন রিকশার প্যাডেল ঘুরলেও ঘোরে না ভাগ্যের চাকা শিল্পাচার্যের আঁকা একটি ছবি নিয়ে প্রশ্ন এবং জবাব

চারটা কিডনি বলা ছাত্রটি এবার বলল, যাও ঘাস নিয়ে আসো। সাথে করে এক কাপ ফ্রেশ কফিও নিয়ে এসো।স্যার রেগে বললেন, কফি দিয়ে কী হবে? কফি কে পান করবে?ছাত্র: কফি স্যার আমি পান করবো। আর যে গাধা সে-ই তো ঘাস খাবে।স্যার: গাধাটা কে?ছাত্র: আপনি তো স্যার জিজ্ঞাসাই করেছেন, আমাদের কয়টা কিডনি আছে। আমার আর আপনার মিলে তো চারটা কিডনিই আছে। সুতরাং নিশ্চয়ই ক্লাসে আমি গাধা না।স্যার বললেন, তুমি বেশি বোঝো? বেশি বুঝদার ছাত্রদের পরীক্ষায় আমি শূন্য দিই। তোমার জন্য বরাদ্দ ডাবল শূন্য। ছাত্রটি এবার বলল, এতে স্যার আপনারই ক্ষতি। সবাই বলবে অমুক স্যারের ছাত্র পরীক্ষায় ডাবল গোল্লা পেয়েছে। আপনারই বদনাম হবে। আমাকে তো আর তেমন কেউ চেনে না।ছাত্ররা সবাই এবার হো হো করে হাসে।

পরীক্ষা শেষ। শিক্ষক ছাত্রের খাতায় বিশেষ নোট লিখলেন— ‘তুমি প্রতিদিন ক্লাসে যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দাও। বুদ্ধি দিয়ে সবাইকে বাজিমাৎ করো এবং হাসাও। আমার বিশ্বাস। আমাদের হয়তো কেউ চিনবে না। তবে একদিন তোমাকে গোটা দুনিয়াবাসী চিনবে। তুমি দুনিয়াবাসীকে হাসাবে। আমি তোমার জন্য এই খাতায় আশীর্বাদ রেখে গেলাম।’স্যারের আশীর্বাদ সত্যি হয়েছে। দুনিয়াবাসী প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনকে চিনেছে।(সংগৃহীত)

Advertisement

এসইউ/এএসএম