বিয়ের আগে হবু দম্পতির উচিত একান্তে কয়েকটি বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলে নেওয়া। তা হোক অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ কিংবা লাভ ম্যারেজ। যদিও প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে হবু দম্পতিরা ভবিষ্যত নিয়ে আগেই অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, তবে বিপত্তি বাঁধে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের ক্ষেত্রে।
Advertisement
এক্ষেত্রে অনেক হবু দম্পতিই বিয়ের আগে খোলাখুলি কথা বলেন না, ফলে পরবর্তী সময়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই বিয়ে পারিবারিকভাবেই হোক আর প্রেমের বিয়েই হোক হবু দম্পতির উচিত একে অন্যের সঙ্গে ভালো বোঝাপোড়া তৈরি করা। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় আছে যা বিয়ের আগে আলোচনা করতে বেশিরভাগ দম্পতিই ভুলে যান।
অথচ এই কথাগুলো আগে থেকেই মিটমাট করে নেওয়া জরুরি, না হলে সংসার জীবনে ভোগান্তি ও অশান্তি পোহাতে হতে পারে। তাই নারী-হোক পুরুষ দুজনেরই উচিত বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর সঙ্গে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে মতামত জেনে নেওয়া। জেনে নিন কী কী-
বাবা-মায়ের দেখভাল করাবয়স বাড়তেই বাবা-মায়েরা নুঁয়ে পড়েন। এ সময় তাদের সার্বিক দেখাশুনার দায়িত্ব এসে পড়ে সন্তানের উপর। আপনার ঘরে বৃদ্ধ বাবা-মা থাকলে তাদের দেখভালে বিষয়ে হবু সঙ্গী কতটা আন্তরিক তা যাচাই করে নিন।
Advertisement
আপনার সঙ্গী বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সেবাযত্ন করতে পারবেন কি না কিংবা তাদের সঙ্গে থাকবেন কি না তা আগে থেকেই জেনে নিন। না হলে বিয়ের পর এ বিষয়ে সমস্যা বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা বজায় রাখা জরুরি কেন? উত্তর কোরিয়ানরা কেন জিন্স পরেন না? স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়েবিয়ের আগে হবু সঙ্গীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলাই ভালো। বিশেষ করে যদি আপনারা দুজনেই সন্তান লাভের আশা করেন। এক্ষেত্রে দুজনেরই শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকতে হবে। চাইলে বেশ কয়েকটি টেস্ট আছে যা বিয়ের আগে করে দুজনই দেখতে পারেন।
ভালো লাগা ও মন্দ লাগাপ্রত্যেকের ভালো ও মন্দ লাগার বিষয়গুলো সম্পূর্ণই ভিন্ন। ধরুন আপনার পোষা প্রাণী আছে অথচ আপনার হবু সঙ্গী প্রাণী পছন্দ করেন না, সেক্ষেত্রে কিন্তু বিয়ের পর ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে।
আবার আপনার খাবারের ধরন ও তার পছন্দের খাবারে অমিল আছে, সেক্ষেত্রে সংসারে অশান্তি হতে পারে। এছাড়া মন-মেজাজ ও ব্যবহার কিংবা মতামতেও দুজনের মধ্যে পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক। তাই এসব বিষয় নিয়ে আগে থেকেই সঙ্গীর সঙ্গে কা বলুন।
Advertisement
অনেকেই গ্রামে বিয়ে করে সঙ্গীকে রেখে শহরে কর্মসংস্থানের খোঁজে চলে যান। সেক্ষেত্রে সঙ্গী কিন্তু একাকী দিন কটায়, এমন কোনো পরিকল্পনা থাকলে তা আগে থেকেই সঙ্গীকে জানান। এমনকি আপনার যদি দেশের বাইরেও যাওয়ার ইচ্ছে থাকে সেটিও জানান সঙ্গীকে। তাহলে অন্তত তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন।
সন্তান নিয়ে পরিকল্পনাবিয়ের কতদিন পর সন্তান নিতে চান তা দুজন মিলেই ঠিক করুন বিয়ের আগে। এমনো হতে পারে আপনার হবু সঙ্গীর সন্তান নেওয়ার ইচ্ছে নেই, কিন্তু আপনার ইচ্ছে দ্রুত সন্তান নেওয়ার। এসব বিষয়েও আগে থেকে মিটমাট করে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ, না হলে পরবর্তী সময়ে অশান্তি হতে পারে।
সূত্র: ব্রাইট সাইড
জেএমএস/এএসএম