জাতীয়

আওয়ামী লীগের ‘অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে’ চট্টগ্রামে জোড়া খুন

চট্টগ্রামে নিহত আওয়ামী লীগের দুই নেতাকর্মী ছিলেন হাটহাজারীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুচ গণি চৌধুরীর অনুসারী। একই গ্রুপের সাজ্জাদ, আরমানসহ কয়েকজনের সঙ্গে আধিপত্যের জেরেই খুন হন আওয়ামী লীগ কর্মী আনিস ও মাসুদ কায়সার। এ দাবি নিহত আনিসের স্ত্রী এ্যানি আক্তারের।

Advertisement

এ্যানি আক্তার বলেন, ‘চট্টগ্রামের হাটহাজারী কুয়াইশ বুড়িশ্চর সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন এ দুজন। ইউনুচ গণি চৌধুরীর অনুসারীদের আরেকটি গ্রুপের সাজ্জাদ, আরমান, জাহাঙ্গীর ও মো. হাসান এতে জড়িত।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, ‘পূর্ব-বিরোধের জেরে এ খুন। প্রাথমিকভাবে আমরা এটি নিশ্চিত হয়েছি।’

নিহত আনিস হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ হাজী ওসমান আলী মেম্বার বাড়ির মৃত মো. ইছহাকের ছেলে। তার স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে।

Advertisement

আরও পড়ুন চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের গুলিতে দুইজন নিহত

অপরদিকে, নিহত মাসুদ কায়সার বোয়ালখালী উপজেলায় মো. রফিকের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে কায়সার সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই তারা পশ্চিম কুয়াইশ এলাকার নানা বাড়িতে লালিত-পালিত হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, কুয়াইশ বুড়িশ্চর সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা ছাড়াও বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল দু’পক্ষের। এর একটি পক্ষে ছিলেন আনিস ও মাসুদ। অপরপক্ষে সাজ্জাদ, আরমান, জাহাঙ্গীর ও মো. হাসান। অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে হত্যাকাণ্ড হয়েছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিদ্যালয়টির নিয়ন্ত্রণ হারান আনিস ও কায়সার।

স্কুলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে তারা যোগ দেন ছাত্র এবং অভিভাবকদের সঙ্গে। পদত্যাগের দাবি তুলেন প্রধান শিক্ষক নন্দন বড়ুয়ার। বৃহস্পতিবার দুপুরে কিছু সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সেখানে কায়সার হৃদয় নামে সাবেক এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার নেপথ্যে আনিস ও মাসুদ কায়সারের ভূমিকা ছিল মনে করছে প্রতিপক্ষ সাজ্জাদ ও আরমানরা। হৃদয়কে মারধরের ঘটনার জেরে ওইদিন রাত ৮টার দিকে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে আনিসকে নগরের অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কের নাহার কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এবং মাসুদকে হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ এলাকায় গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

Advertisement

এএজেড/এমএএইচ/এএসএম