ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের ঘুস লেনদেনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তবে ওই কর্মকর্তার দাবি, ঘুস নয় তিনি দাখিলার (খাজনার রসিদ) টাকা নিয়েছেন।
Advertisement
ভিডিওতে দেখা যায়, ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার আলমগীর হোসেনের কাছে এক ব্যক্তি ই-নামজারির আবেদন করতে আসেন। তখন তিনি তার কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা গুনে গুনে নেন। অপর এক দৃশ্যে দেখা যায়, টাকার নোটগুলো গুছিয়ে রাখতে।
ভিডিওতে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনকে বলতে শোনা যায়, আমরা এখন টাকা নেই না। কারণ মানুষ চায়ের দোকানে গিয়ে বলে দেয়। পরবর্তী সময়ে ওই সেবাপ্রত্যাশী তাকে বলেন, তিনি এই কথা কাউকে বলবেন না। পরে আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা ই-নামজরির ক্ষেত্রে সাত হাজার টাকা করে নিয়ে থাকি, এখন আপনাকে কমই বলেছি। পরে দরকষাকষির মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা দেন ওই সেবাপ্রত্যাশী।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। আপনি যদি ভিডিওটি লক্ষ্য করেন দেখবেন, ভিডিওতে আমি টাকা নেওয়ার পর কম্পিউটারে কাজ করছি। অর্থাৎ আমি তখন দাখিলা কাটছিলাম, ওটা দাখিলার টাকা।’
Advertisement
জানতে চাইলে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিএম কুদরত এ-খুদা বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এন কে বি নয়ন/এসআর/এমএস