দেশজুড়ে

চাঁদপুরে তলিয়ে গেছে ১০০ হেক্টর জমির পান

টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ৯০ হেক্টর জমির পান বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ফরিদগঞ্জে প্রায় ১০ হেক্টর জমির পান নষ্ট হয়েছে। বরজে পানি জমে ইতিমধ্যে পানে পঁচন ধরেছে। আবার অনেক পান ঝরে পড়ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পানচাষীরা।

Advertisement

হাইমচর উপজেলার নয়ানী, লক্ষ্মীপুর, নীলকমল, আলগী, চরভৈরবীসহ প্রতিটি এলাকার পানের বরজ পানিতে তলিয়ে গেছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) উপজেলার উত্তর আলগী ইউনিয়নের মহজমপুর গ্রামের হেনা আক্তার বলেন, একমাস আগে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে পানের লতা লাগিয়েছি। ব্যাংক থেকে আড়াই লাখ টাকা ঋণ করে ১০ শতাংশের মধ্যে পানের বরজ করেছি। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এখন পানের বরজে কোমর পানি। পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করেও পারিনি। পুরো বরজ পানিতে তলিয়ে গেছে। সব পঁচে গেছে।

পানচাষী আবু তাহের সরদার বলেন, ৪০ শতাংশ জমিতে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করে পানের বরজ করেছি। গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় দুটি বরজ। এখন শ্রমিক নিয়ে পানি নিষ্কাশন করেও লাভ হচ্ছে না। পানের বরজের ভবিষ্যৎ কি হবে তাও বলতে পারছি না।

Advertisement

উত্তর আলগী ইউনিয়নের পানচাষী শাহজাহান সরদার ও মকজুল সরদার বলেন, পুরো বরজ শেষ। ৮-১০ দিন ধরে পানি নিষ্কাশন করেও কাজ হচ্ছে না। শিকড় পঁচতে শুরু করেছে। অপরিপক্ক পান ছিড়ে বিক্রি করতে হচ্ছে।

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাকিল খন্দকার বলেন, উপজেলার ১১৯ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ রয়েছে। অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে ৯০ হেক্টর জমির পান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পান চাষের সঙ্গে জড়িত রয়েছে এক হাজার ৭২ কৃষক। ক্ষতিগ্রস্ততের তালিকা তৈরি এবং ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। প্রনোদনা আসলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে।

শরীফুল ইসলাম/এএইচ/এমএস

Advertisement