২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে ডায়ালাইসিসের খরচ বাড়ানোর প্রতিবাদ করায় গ্রেফতার এক যুবককে পাঁচলাইশ থানায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। সে সময় পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা পিবিআইকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিরুল ইসলাম শুনানি শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে কিডনি রোগীর স্বজন মোস্তাকিমকে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু তদান্তাধীন পুলিশ কর্তৃপক্ষ এজাহারভুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে মাসের পর মাস অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তাদের সাসপেন্ড করেনি। সিআইডি দায়সারা প্রতিবেদনের প্রতি বাদী না রাজি দিলেও সিআইডির রিপোর্ট গ্রহণ করে মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়।’
‘এর বিরুদ্ধে বাদীপক্ষে মানবাধিকার আইনবিদরা রিভিশন দায়ের করলে আজ আদালতে তা শুনানি শেষে বাদীর অভিযোগ পুনঃ তদন্তের জন্যে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।’ - আইনজীবী জিয়া হাবিব আহসান।
Advertisement
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- পাঁচলাইশ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন মজুমদার ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মজিদ।
গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করা হয়। মোস্তাকিমের মা ছিল একজন কিডনি রোগী। ডায়ালাইসিস ফি কমানোর আন্দোলনে ছিলেন মোস্তাকিমও। আন্দোলন থেকে তাকে গ্রেফতার করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন থানায় যুবককে পেটানোর অভিযোগে এসআই ক্লোজড থানায় ঝুলিয়ে যুবককে নির্যাতন, চার পুলিশ বরখাস্তপরে থানায় আটকে নির্যাতনের অভিযোগে ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছার আদালতে ওই থানার ওসি নাজিম উদ্দিন ও এসআই আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন-বিএইচআরএফর মামলাটিতে আইনি সহায়তায় দিচ্ছে।
মামলার বাদী মোস্তাকিম নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার জালালাবাদ অক্সিজেন এলাকার মৃত খালেদ আজমের ছেলে। চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসায় ফাজিল শেষ বর্ষে পড়ার পাশাপাশি সরকারি হাজী মুহাম্মদ মুহসীন কলেজে ইসলামের ইতিহাসে অনার্সে পড়ছেন তিনি।
Advertisement
এএজেড/এমআরএম/জিকেএস