বেশ কয়েকবার মুক্তির তারিখ পেছানোর পর অবশেষে প্রস্তুত ‘ইমার্জেন্সি’। বলিউডের এই সিনেমায় ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। তখন তিনি ছিলেন মামুলি এক বিজেপি সমর্থক। এখন তিনি দলটির সাংসদ। এই সংসদ সদস্যের সিনেমা মুক্তি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পাঞ্জাবের শিখ ধর্মাবলম্বীদের রাজনৈতিক সংগঠন শিরোমণি অকালি দল।
Advertisement
এর আগে অবমুক্ত হয় ‘ইমার্জেন্সি’ ছবির ট্রেলার। তখনই শিখ সমাজে ছবিটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। এবার এই ছবি মুক্তি না দিতে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। দলটির মত, ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তি পেলে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হতে পারে। সংগঠনের দিল্লি শাখার সভাপতি পরমজিৎ সিং স্বর্ণের মতে, ছবির ট্রেলারে ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃত করা হয়েছে, যা শিখ সম্প্রদায়ের জন্য অবমানকর। ছবির মাধ্যমে ঘৃণা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ধরনের ভুল তথ্য পাঞ্জাবের সামাজজীবন সম্পর্কে দর্শকের কাছে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছাবে।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। পরবর্তী দুবছর দেশটির নাগরিকদের অধিকার খর্ব করা হয় বলে ছবিতে দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। পরমজিত বলেছেন, ‘এই কারণেই সিনেমাটি দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে। সেটা অনুমান করেই আমরা সেন্সরবোর্ডের কাছে ছবিটি মুক্তি না দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। কারণ বাকস্বাধীনতা আর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারের মধ্যে পার্থক্য আছে।’ তবে ছবি মুক্তি বন্ধ হচ্ছে কি না সে ব্যাপারে সেন্সরবোর্ড এখনও কোনও নির্দেশ দেয়নি।
কঙ্গনার দাবি, ‘ইমার্জেন্সি’র ট্রেলার অবমুক্তির পর থেকে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব এবং হিমাচল প্রদেশের প্রশাসনের কাছে বাড়তি নিরাপত্তার আবেদন করেছেন এই অভিনেত্রী। তার মতে, সিনেমার প্রচারণায় বের হয়ে যে কোনো সময় তিনি হামলার শিকার হতে পারেন। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে বিজেপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন কঙ্গনা।
Advertisement
আরএমডি/জিকেএস