সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজকে একজন মোটরসাইকেল আরোহী সংসদ ভবন এলাকা থেকে ফলো করতে করতে সেনানিবাসের মধ্যে চলে যান। সেখানে গিয়ে তার গাড়ি থামান। পরে আবার ফিরেও যান। এ ঘটনা সোহেল তাজ নিজেই জানিয়েছেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে। পাঠকের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু নিচে দেওয়া হলো:
Advertisement
আজ রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি। প্রতিউত্তরে সে আমাকে বলে যে তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন কি না? জবাবে সে আমাকে বললো, আমি আপনাকে চিনি, আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বললো যে সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বললো। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম। সে কোনো উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বললো তারপর আমাকে বললো চলে যেতে। আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেলো।
তার কথা বলার ধরণ এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা। এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে। ছি ছি!
বি. দ্রষ্টব্য: এ ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন এবং ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেটের প্রবেশ পথের হাই রেজুলেশন ক্লোস্ড সার্কিট ক্যামেরার (CCTV) ফুটেজ দেখলেই ধরা পড়বে কে এই মোটরসাইকেলআরোহী। সময় রাত ১০:৫০ মিনিট থেকে ১১:০০টা। আমার গাড়ি এই সময়ের মধ্যে প্রবেশ করে এবং পেছনেই এই মোটরসাইকেলআরোহী ছিল।’
Advertisement
এ ঘটনার পরবর্তী কোনো তথ্য জানা যায়নি।
এমএইচআর/এএসএম