কালবৈশাখীর তাণ্ডবে রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত জেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া ঝড়ে গাছচাপা পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার বুড়িচং উপজেলার ঝুমুর এলাকায় আবদুর রশিদ (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। জানা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে মহাসড়কের পাশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়ে ও গাছের ডাল-পালা ভেঙে সড়কে পড়ায় রোববার রাতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন যানবাহনের যাত্রীরা। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ মহাসড়কে পড়ে থাকা গাছপালা সরিয়ে নেয়ার পর সোমবার সকাল থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। জেলার দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, ঝড়ের সময় দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি মার্কেটে আগুন ধরে কমপক্ষে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘণ্টাব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনে তাদের লাখ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। হাইওয়ে পূর্বাঞ্চলের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের কয়েকটি স্থানে গাছ এবং ডালাপালা ভেঙে পড়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। সোমবার সকাল থেকে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এদিকে, রোববার সন্ধ্যা থেকে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ঝড়ে গাছের ডাল-পালা পড়ে কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে রোববার রাতে পুরো নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা সদরসহ অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় ভুতুড়ে এলাকায় পরিণত হয়।ঝড়ে বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দফতর ও আবাসিক এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল। নগরীর দক্ষিণ চর্থা, কালিয়াজুড়ি, চকবাজার, টমছমব্রিজ, মোগলটুলী, শাকতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছ উপড়ে আবার কোথাও ডালপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া নগরীর শাকতলাস্থ সড়ক ও জনপথ (সওজ) ক্যাম্পাসে, ধর্মসাগর পাড় ও পৌর পার্কে গাছ উপড়ে পড়ে সীমানা প্রাচীর ও স্থাপনা ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুমিল্লা বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের জানান, ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সংস্কার কাজ চলছে। কামাল উদ্দিন/এসএস/আরআইপি
Advertisement