এই সময়ের তরুণ জনপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইন ভ্রমণকাহিনি লিখছেন। বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া এবং গত জুন মাসে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানিয়েছিলেন। ২৮ আগস্ট কথা হয় এই লেখকের সঙ্গে। তিনি জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বইটির প্রকাশ পিছিয়ে গেছে। শিগগিরই বইটি প্রকাশিত হবে বলে আশা করছেন তিনি।
Advertisement
সাদাত হোসাইন জানিয়েছিলেন, ‘এই মুহূর্তে একটি বিশেষ বই লিখছি। কারণ এটি ভ্রমণকাহিনি, এবারই প্রথম ভ্রমণবিষয়ক বই লিখছি। ইউরোপের ৮-৯টি দেশ ঘুরেছি। দেশে আসার পর অন্যপ্রকাশের প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম আমাকে বললেন, ইউরোপ ট্যুরের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি ভ্রমণকাহিনি লিখতে। আইডিয়াটি আমারও খুব ভালো লাগলো, তাই রাজী হয়েছি।’
তিনি বইটির নাম দিয়েছেন ‘যেতে যেতে তোমাকে কুড়াই’। বইটি চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন কারণে বইটি প্রকাশের সময় পেছানো হয়েছে।
সাদাত হোসাইন বলেন, ‘ভ্রমণকাহিনি লেখা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। কাজটি করতে চেয়েছি, কারণ বাংলা সাহিত্যে খুব সফল কিছু ভ্রমণকাহিনি আছে, যা পড়ে আমি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি। যার মধ্যে অবশ্যই সৈয়দ মুজতবা আলীর বইগুলোর কথা বলতে হয়। এছাড়া রয়েছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের খুব বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনি ‘ছবির দেশে কবিতার দেশে’। আরেকটি বই আছে ‘পায়ের তলায় শর্ষে’।’
Advertisement
সাদাত হোসাইন ইউরোপের চারটি দেশের চারটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। দেশে এবং দেশের বাইরে তার লেখা যারা পছন্দ করেন; তারা তার জীবন সম্পর্কেও জানতে চান। তাদের জন্য ‘সাদাত হোসাইনের জীবনের গল্প, গল্পের জীবন’ নামের একটি সেশন তৈরি করা হয়েছে।
এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, দুবাই, ভারতসহ কয়েকটি দেশের আমন্ত্রণে সাদাতের জীবন ও কর্ম নিয়ে সেশনটি করা হয়েছে। এরপর ইউরোপের দুটি দেশ থেকে একই সেশনের জন্য আমন্ত্রণ পান। প্রথম সেশনটি ছিল বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে। এরপর জার্মানির ফ্রাঙ্কফুটের বাঙালিরা আয়োজন করে আরেকটি সেশন।
এ ছাড়া ফ্রান্সের প্যারিসের প্রবাসী বাঙালিরা তাকে সম্মাননা দিয়েছেন। এ প্রোগ্রামগুলোর ফাঁকে ফাঁকে তিনি চেষ্টা করেছেন দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরতে। সুইজারল্যান্ড গিয়েছিলেন, এরপর ইতালির মিলান ও ভেনিস, ফিরে আসার টিকিট ছিল রোম থেকে। সেখানকার বাংলাদেশি সাংবাদিকদের অ্যাসোসিয়েশন থেকেও সাদাতকে একটি সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
সেসব অভিজ্ঞতাই তিনি তুলে ধরবেন ‘যেতে যেতে তোমাকে কুড়াই’ বইতে। বইটির চুম্বক অংশ তিনি নিয়মিত প্রকাশ করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে পাঠকের মধ্যে বেশ আগ্রহের জন্ম হয়। আশা করা যায়, বইটি প্রকাশের পর পাঠকপ্রিয়তা পাবে।
Advertisement
এসইউ/জিকেএস