জাতীয়

রেড ক্রিসেন্টের নতুন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও মহাসচিব ড. কবির

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেজর জেনারেল মো. রফিকুল ইসলাম (অব.)। একই সঙ্গে সোসাইটির নতুন মহাসচিব নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. কবির মো. আশরাফ আলম।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আদেশ, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭৩ সনের ২৬ নং আদেশ-এর ১০ (১) আর্টিকেলে বর্ণিত ক্ষমতাবলে তাদের নিয়োগ দেন।

বুধবার সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে যোগদান করেন মেজর জেনারেল মো. রফিকুল ইসলাম (অব.) ও ড. কবির মো. আশরাফ আলম।

মেজর জেনারেল (অব.) মো. রফিকুল ইসলাম ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ২০১১ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যান। বার্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (২০০৯-২০১০) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (২০১০-২০১১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Advertisement

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ১৯৯৩-১৯৯৪ সালে মোজাম্বিকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে অংশ নেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে তিনি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডে (বিটিসিএল)।

২০১২ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নির্বাহী পরিচালক হিসেবে আবুল খায়ের গ্রুপের ঢাকা অফিসে কর্মরত ছিলেন এবং ২০১৮ সাল থেকে বিএমএসআরআইয়ের (বাংলাদেশ মেডিকেল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট) অবৈতনিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

আরও পড়ুন

বন্যায় রেড ক্রিসেন্টের ভূমিকা দুঃখজনক, বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে

পেশাগত জীবনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন মেজর জেনারেল মো. রফিকুল ইসলাম (অব.)। যুক্তরাজ্য থেকে অ্যাডভান্স কমিউনিকেশন সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেকনিকে ১৯৮১ সালে ডিপ্লোমা করেন তিনি। ১৯৮৭ সালে মালয়েশিয়ান আর্মড ফোর্সেস স্টাফ কলেজ আর্মি স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন তিনি।

Advertisement

২০০৩ সালে ভারতের নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ থেকে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ কোর্স করেন মেজর জেনারেল (অব.) মো. রফিকুল ইসলাম। ১৯৯৭ সালে কানাডায় পিস কিপিং ট্রেনিং এবং ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে সিগন্যাল কমিউনিকেশন সেমিনারে অংশ নেন। সুদীর্ঘ কর্মজীবনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন মেজর জেনারেল মো. রফিকুল ইসলাম (অব.)।

অন্যদিকে ড. কবির মো. আশরাফ আলম ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তার ৩৩ বছরের সুদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি সরকারি খাতের প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্র অতিক্রম করেন। স্থানীয় প্রশাসন পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে আগ্রহের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র ছিল। তিনি এলজিআই ইউনিটগুলির সক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নয়ন কাজের তত্ত্বাবধান, প্রতিনিধিত্বমূলক স্থানীয় সংস্থা হিসাবে এলজিআই ইত্যাদির কার্যকারিতা এবং বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার সাথে স্থানীয় সরকার কার্যক্রমের সমন্বয় ও আন্তঃসংযোগ নিয়ে কাজ করেছেন।

তিনি ড্যানিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’র অর্থায়নে এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব লোকাল গভর্নমেন্ট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন খাতে বাংলাদেশ সরকারের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে তাঁর যৌথ গবেষণা কাজ এবং প্রকাশনা রয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ রয়েছে তাঁর।

দেশের প্রধান স্থানীয় সরকারের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। পানি ও স্যানিটেশন, আর্থিক ও সাধারণ প্রশাসন, মানবাধিকার ও জেন্ডার, স্থানীয় সম্পদ আহরণ, পরিবেশ সুরক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন, উন্নয়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তিনি বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, জাইকা, এসডিসি, সিআইডিএ এবং ড্যানিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’র মতো অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে কাজ করেছেন তিনি।

বিএ/এমএস