ধর্ম

এক রাকাতে কোরআনের একাধিক জায়গা থেকে তিলাওয়াতের বিধান

নামাজে একই রাকাতে ইচ্ছাকৃত কোরআনের একাধিক জায়গা থেকে তিলাওয়াত করা মাকরুহ। হাদিসে এসেছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বিলালের (রা.) পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আর বিলাল (রা.) একই রাকাতে বিভিন্ন সুরা থেকে তিলাওয়াত করছিলেন। পরে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, আমি একটি উত্তমকে আরেকটি উত্তমের সাথে মিলিয়েছি। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, না, সুরা যেভাবে আছে সেভাবেই পড়। (ফাজাইলুল কুরআন, আবু উবাইদ পৃ. ৯৫)

Advertisement

এ হাদিস থেকে বোঝা যায় নামাজে কোরআনের এক জায়গা থেকে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে তিলাওয়াত করা উচিত। ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে আয়াত একত্র করে তিলাওয়াত করা অপছন্দনীয় কাজ।

তবে তারাবি নামাজের কোরআন খতমের ক্ষেত্রে কিছু আয়াত ছুটে গেলে পরবর্তীতে খতম পূর্ণ করার জন্য ওই আয়াতগুলো একত্র করে একবারে পড়ে নেওয়া যেতে পারে; এটা মাকরুহ হবে না।

নামাজে কেরাত অর্থাৎ কোরআন থেকে কিছু আয়াত পড়া ফরজ। আল্লাহ নামাজে কোরআন পড়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,

Advertisement

فَاقۡرَءُوۡا مَا تَیَسَّرَ مِنَ الۡقُرۡاٰنِতোমরা কোরআন থেকে যতটুকু সহজ হয় ততটুকু পড়। (সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০)

নামাজে প্রতি রাকাতে কেরাত পড়া ফরজ। সুরা ফাতেহা পড়া ও সুরা মেলানো ওয়াজিব। সামর্থ্য থাকার পরও কেউ যদি কোনো রাকাতে কুরআন থেকে কিছুই না পড়ে, তাহলে ওই রাকাতটি পূর্ণ হবে না। ভুল করে সুরা ফাতেহা বা ফাতেহা-পরবর্তী কেরাত না পড়লে সাহু সিজদা দিতে হবে। সাহু সিজদা না দিলে নামাজ আবার পড়া ওয়াজিব হবে।

ওএফএফ/এএসএম

Advertisement