ইয়াহুদিরা যখন মুসলমানগণকে পুনরায় কাফের বানাতে চেষ্টা সাধনায় লিপ্ত হয়, তখন আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে নির্দেশ দেন যে, তারা যেন অবিশ্বাসীদের কথায় কর্ণপাত করে মূল্যবান সময় নষ্ট না করে। তাঁরা যেন নামাজ প্রতিষ্ঠা ও জাকাতের বিধান বাস্তবায়নে সময় ব্যয় করে। অতপর ইয়াহুদিরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপকৌশল স্বরূপ জান্নাতের লোভে দেখাতে থাকে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা তাদের দাবির স্বপক্ষের প্রমাণ দেয়ার আহ্বান করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,ওরা বলে, ইয়াহুদি অথবা খ্রিস্টান ব্যতিত কেউ জান্নাতে যাবে না। এটা ওদের মিথ্যা আশা বা মনের বাসনা। (হে রাসুল!) বলে দিন, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তাহলে (এ কথার সত্যতার) প্রমাণ উপস্থিত কর।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১১১)এ আয়াতে ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের একটি দাবির কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে, তারা ব্যতিত আর কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে একবার মদিনার ইয়াহুদি পণ্ডিত এবং নাজরানের খ্রিস্টান প্রতিনিধিরা বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিল। তখন তারা এক দল অপর দলের বিরুদ্ধে শত্রুতা ও হিংসা-বিদ্বেষে জড়িয়ে পড়ে।বিতর্ক করতে গিয়ে ইয়াহুদিরা বলেছিল, ‘তারা (ইয়াহুদি) ব্যতিত আর কেউ জান্নাতে যাবে না।’খ্রিস্টানরা বলেছিল, ‘তারা (খ্রিস্টান) ব্যতিত জান্নাতে আর কেউ প্রবেশ করবে না।তখন আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে নির্দেশ দেন যে, আপনি বলুন, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে তোমরা তোমাদের স্বপক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন কর। মূলত এটা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের কল্পনাপ্রসূত ধারণা মাত্র। অথচ তারা উভয়েই আহলে কিতাবের অধিকারী।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের সকল প্রকার অপকৌশল ও ষড়যন্ত্র থেকে হিফাজত থেকে কুরআনের বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/আরআইপি
Advertisement