বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ওই তদন্ত কমিশন বাতিল করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ওই তদন্ত কমিশন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
‘কমিশনস অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬’ অনুযায়ী গত ১ আগস্ট গঠন করা এ তদন্ত কমিশনের প্রধান ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান। সদস্য হিসেবে ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী।
কমিশনকে গত ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের মৃত্যুর কারণ উদঘাটন ও তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল। একই সঙ্গে ওই সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতেও বলা হয়।
Advertisement
কমিশনকে সহিংসতা, নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর/সংস্থা/ প্রতিষ্ঠান, সরকারি কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ ও করপোরেশন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের দায়িত্বও দেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ওই দিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। পরে ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে আওয়ামী লীগ সরকারের জড়িত ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আরএমএম/কেএসআর/এএসএম
Advertisement