অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ট্যাক্স জিডিপি রেশিও আমাদের বাড়াতে হবে। নিজেদের ব্যবহারের জন্য প্রচুর অর্থ লাগবে। সারাক্ষণ তো ঋণ নিয়ে চলতে পারবো না।’
Advertisement
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আসেন অর্থ উপদেষ্টা। এরপর তিনি এনবিআরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কথা বলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গেও।
দেশের শিল্প-বাণিজ্যের উন্নয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভূমিকা আছে জানিয়ে সাবেক এ গভর্নর বলেন, ‘রাজস্ব আদায় এনবিআরের কাজ, কিন্তু এই আদায়টা যেন ম্যাক্সিমাম ও নিয়মমাফিক হয়। মানুষের যাতে কষ্ট না হয়।’
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি খাতের কিছু ইস্যু আছে। বন্দরে তাদের পণ্য দ্রুত ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বিল অব লেডিং, বিল অব এন্ট্রি- এসব সময়মতো করতে হবে। আর যদি কাগজপত্র না থাকে তো তা চাইবেন। মোদ্দা কথা সরকারের তরফ থেকে কোনো বাধা থাকবে না।’
Advertisement
কালো টাকা সাদা করার বিধান বলবৎ থাকবে কি না জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এ সম্পর্কে এখন কিছু বলবো না। এবার হলিস্টিক অ্যাপ্রোচে এনবিআর রিফর্মের (সামগ্রিকভাবে এনবিআর সংস্কারের) উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
এনবিআরের প্রসারে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখছি। ওইদিকে আবার ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেটের রিফর্মের জন্য ব্রিটিশ অ্যাম্বাসেডর প্রস্তাব দিয়েছেন। আমাদের দেশে যারা এক্সপার্ট আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলবো। তাদের যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে বাইরের দিকে কেন তাকাবো।’
বৈঠকে এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ও প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএম/কেএসআর/এএসএম
Advertisement