বিএনপি কর্মীকে গুমের অভিযোগে নয় বছর পর যশোরের সাবেক পুলিশ সুপার ও বর্তমানে রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনিসুর রহমান, কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিকদার আক্কাস আলী, এসআই আবু আনসারসহ সাত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ভুক্তভোগীর মামা কুদ্দুস আলী মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন কোতোয়ালি থানাকে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহিন বালুজ। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, পুলিশ সদস্য হাফিজ, সাইদ, অভিজিৎ ও হাসনাত।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তিনি ও তার ভাগ্নে মাসুদ বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০১৫ সালে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি ও মাসুদ। এর জেরে ওই বছরের ৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার পর আসামিরা তার বাড়িতে হানা দেন।
Advertisement
এসআই আনসার মাসুদকে নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকেন। এরপর আকস্মিকভাবে তাকে তুলে পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে নেন। এসময় আশপাশের লোকজন বাধা দিলে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে তুলে নেয়। পরে জোর করে তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মধ্যরাতে মাসুদকে থানা থেকে বাইরে নিয়ে যান আসামিরা। এসময় বাদী জিজ্ঞাসা করলে আসামিরা জানান, মাসুদকে হত্যা করা হবে। পরদিন একটি অস্ত্র মামলায় তাকে চালান দেওয়া হয়। এরপর থেকে গত ৯ বছরেও মাসুদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আইনগত কোনো সহযোগিতাও দেয়নি পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী রুহিন বালুজ বলেন, গত নয় বছর বাদীপক্ষ মামলা করার সাহসই পায়নি। তারা নিজেরাই আত্মগোপনে ছিলেন। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের পর তারা বিচারের জন্য আদালতে এসেছেন। মামলার অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন আদালত।
মিলন রহমান/জেডএইচ/এএসএম
Advertisement