দেশজুড়ে

ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন

মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। সেই সঙ্গে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। বেশ কয়েকটি সড়ক ভেঙে গেছে।

Advertisement

কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, রাজনগর উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাজনগর থেকে বালাগঞ্জ, জুড়ী-ফুলতলা, জুড়ী-লাটিঠিলা, মৌলভীবাজার-কুলাউড়া, মৌলভীবাজার-শমশেরনগর, কুলাউড়া-শমশেরনগর সড়ক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বিভিন্ন গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এগুলো ভেঙে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত অনেক সড়ক যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে ওঠেছে। জেলায় প্রায় ৩০০ কিলোমিটারের সড়ক বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে, সড়কে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। দ্রুত সময়ে সড়কগুলো মেরামত করে যান চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এলজিইডি সূত্র জানা যায়, সাম্প্রতিক বন্যায় জেলার ২১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ৯টি সেতু ও কালভার্ট। এসব সড়ক ও সেতু মেরামত এবং পুনর্নির্মাণে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা প্রয়োজন। তবে এখনো পুরোপুরি হিসাব পাওয়া যায়নি, কারণ বিভিন্ন জায়গায় সড়কের ওপর এখনো পানি। কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া উপজেলার গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় চলমান বন্যায় ৭৮ কিলোমিটার সড়ক, ৬টি কালভার্ট ও একটি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অংকে ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তবে সম্পূর্ণভাবে পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্থানীয়রা বলেন, বন্যায় আমাদের সবকিছু নিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি যেভাবে ক্ষতি হয়েছে ঠিক এর চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সড়কের।

এলজিইডি মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ আব্দুল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, এলজিডির ২১০ কিলোমিটার ও ৯টি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা টাকার অংকে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা হবে।

মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়ছার হামিদ জাগো নিউজকে বলেন, বন্যায় আমাদের ৭৮ কিলোমিটার সড়ক তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে ৬টি কালভার্ট ও একটি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

ওমর ফারুক নাঈম/জেডএইচ/এমএস