বিবিধ

বন্যা মোকাবিলা ও পুনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছে কোডমলি

দেশে চলমান বন্যা সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে ডিজিটাল সাফল্যের সহযাত্রী কোডমলি। বন্যার পর গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থেকে ট্রাক ভরে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

Advertisement

প্রতি ট্রাকে বন্যার্ত পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি, শুকনো খাবার, ওষুধ, স্যালাইন, স্যানিটারি প্যাড, ইত্যাদি ত্রাণ হিসেবে প্রতিদিন পাঠাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্থানীয়দের সহায়তায় খিচুড়ি রান্নার ব্যবস্থা এবং সেখানে নিয়মিত চাল, ডাল, লবণ, তেল অর্থাৎ খিচুড়ি রান্না করার উপকরণ পাঠিয়ে যাচ্ছে কোডমলি।

ভাড়া করা বোটের মাধ্যমে বানভাসি মানুষদের উদ্ধারের কাজেও বেশ অভিযান চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের অন-লাইন চ্যানেলকে কাজে লাগিয়ে প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিদের বন্যার্ত মানুষের পাশে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে নিজ খরচে ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

এরই মধ্যে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, জামিয়াতুল আনোওয়ার মাদরাসা ফাউন্ডেশন, ফেনী ইমাম ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা ছাত্র পরিষদ ইত্যাদি সামাজিক সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানেও অর্থ সাহায্য দিয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত কোডমলি নিজস্ব তহবিল থেকে ৫৫ লাখ টাকা খরছ করেছে।

বন্যা পরবর্তী বিপর্যয় ঠেকাতেও প্রস্তুতি নিয়েছে কোডমলি। প্রতিষ্ঠানটি জানায় গৃহহীন প্রান্তিক পরিবারের জন্য নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়া, কৃষকদের জন্য বীজ ও সার কেনায় অর্থ সাহায্য দেওয়া, প্রান্তিক খামারিদের পুনর্বাসনের জন্য অর্থ সাহায্য দেওয়া, ভেঙে পড়া মসজিদ, মাদরাসা ও স্কুলের মতো সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মেরামতের জন্য অর্থ সাহায্য দেওয়া, চলাচলের রাস্তা ঠিক করে দেওয়ার জন্য অর্থ সাহায্য দেওয়া ও কর্মহীন প্রান্তিক মানুষদের জীবিকা নির্বাহের নিমিত্তে অর্থ সাহায্য দিয়ে ভ্যান, রিকশা, সেলাই মেশিনের মতো উপায় দেওয়ার মতো কর্মসূচি হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা রাজীব হোসেন জানান, সবাই মিলেমিশে আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। আমাদের যেসব অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সেই অঞ্চলগুলোকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। আবার যেন সবাই ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই উদ্যোগ আমাদেরকেই নিতে হবে।

আরেক কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের বেশিরভাগ ব্যবসায়িক কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু রয়েছে। আমাদের কাছে আগে দেশ, পরে ব্যবসা। মানুষের জীবনের চেয়ে অর্থ উপার্জন বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়।

Advertisement

জানা গেছে, কোডমলি শুধুমাত্র ইকমার্স নয়, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে কাস্টমার রিলেশানশিপ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বা সিআরএম এর মতো কমপ্লেক্স সফটওয়্যার তৈরি করেছে যা আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ সফল। এছাড়াও ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থেকে সফটওয়্যার অ্যাজ এ সার্ভিস বা স্যাস নিয়েও কাজ করছে। এসব সফটওয়্যারের সম্মিলিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা কয়েক মিলিয়ন যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

বর্তমানে কোডমলিতে ২০ জন কর্মী আছে, তাদের ইচ্ছে আছে ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যাকে এক হাজারে নিয়ে যাওয়ার। দেশে দক্ষ জনবল তৈরি, রেমিট্যান্স নিয়ে আসা ও বিপদে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে কোডমলি সর্বদা বন্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন এর কর্মকর্তারা।

এমআইএইচএস/এএসএম