দেশজুড়ে

পানিবন্দিদের ঠিকানা এখন আশ্রয়কেন্দ্র-স্বজনের বাড়ি

লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র ও স্বজনদের বাড়ি উঠেছেন। অনেকে আবার কষ্ট করে হলেও অবস্থান করছেন বাড়িতে। চারদিকে পানি থাকায় খাটের ওপর থাকছেন, আর সেখানেই চলছে রান্নাবান্না।

Advertisement

কোমর পানিতে যাতায়াতে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে এসব মানুষকে। এছাড়া সুপেয় পানিরও অভাব দেখা দিয়েছে। গরু-ছাগলসহ গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে রয়েছেন গৃহস্থরা। রোববার (২৫ আগস্ট) রাত পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের কোথাও বন্যার পানি কমেনি।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার লামচরী, মধ্য বাঞ্চানগর, শিশু পার্ক এলাকা ও লাহারকান্দি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ পানিবন্দি। এসব এলাকার ১২ হাজার ৭৫০ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। তবে অধিকাংশ মানুষ নিজের বাড়ি-ঘর ছেড়ে স্বজনদের বাড়ি গিয়ে উঠেছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ৫টি উপজেলায় সাত লাখ ৪৭ হাজার ৪২০ মানুষ পানিবন্দি। যদিও বেসরকারি হিসেবে এর সংখ্যা ১০ লক্ষাধিক।

Advertisement

মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া গ্রামের তোফায়েল বলেন, বাড়ি ও আশপাশে তিনদিন ধরে হঠাৎ করে পানি বাড়তে থাকে। শনিবার সারাদিন বৃষ্টি না হলেও রাতে বৃষ্টি হয়। তবে বৃষ্টির পাশাপাশি নোয়াখালী বন্যার পানি এদিকে চাপ দেয়। এখন প্রত্যেক বাড়ি ৩-৪ ফুট পানিতে তলিয়ে আছে। ঘর-বাড়িতে থাকার কোনো সুযোগ নেই। যাদের ঘরের ভিটা উঁচু তারাই শুধু বাড়িঘরে থেকে গেছে। আর অন্যরা আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ও আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান বলেন, নোয়াখালীর বন্যার পানি লক্ষ্মীপুরে ঢুকে পড়েছে। এজন্য পানি বেড়ে গেছে। প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের শুকনো খাবার বিতরণ করছি। একই সঙ্গে খিচুড়ি রান্না করেও মানুষদের দেওয়া হচ্ছে।

কাজল কায়েস/জেডএইচ/এএসএম

Advertisement