দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার ইচ্ছা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
Advertisement
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও রাজনৈতিক অধিকারে, মিছিল মিটিংয়ে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করার ইচ্ছা সরকারের নেই।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ও নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত রিট আবেদনের শুনানিতেও কথা বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
Advertisement
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ইচ্ছা অন্তবর্তী সরকারের নেই। সংবিধানে সংগঠন ও রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে স্বাধীনতা রয়েছে, এই সরকার সেটিতে বিশ্বাস করে। গত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সঙ্গে জড়িতদের অন্যায়-অবিচারের বিচার আদালতের মাধ্যমে হবে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে যে নতুন স্বাধীনতা এসেছে, সেখানে সবার বাক্স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হতে হবে। রাজনৈতিক দল পরিচালনার স্বাধীনতা এ সময় বন্ধ হতে পারে না।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা নিয়ে মাঠের রাজনীতি আদালতে টেনে আনা ঠিক হবে না। এছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল এই রিট নিয়ে আসেনি। রিটে আওয়ামী লীগকে পক্ষভুক্ত করা হয়নি, কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি। এই রিট মেইনটেনেবল (গ্রহণযোগ্য) না। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয়েছে, যা আমাদের কারোরই কাম্য ছিল না। গত কর্তৃত্ববাদী শাসনের সঙ্গে বিচার বিভাগের সমর্থন ও অবিচারের প্রেক্ষাপটেই এমন ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে বিচার বিভাগে আক্রমণ হলে সেটি আমাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণের বিষয়।
মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেছিলেন। আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। পরে আদালত আগামী ১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।।
এফএইচ/এসআইটি/জেআইএম
Advertisement