জাতীয়

বন্যাদুর্গত এলাকায় বিদ্যুৎখাতে ৮ কোটি টাকার ক্ষতি

সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের ১১টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে মোট ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হওয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো হলো চাঁদপুর ১, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা ২, কুমিল্লা ৪, চট্টগ্রাম ১, চট্টগ্রাম ৩, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

Advertisement

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড তাদের এক হিসাবে এই তথ্য জানিয়েছে। তবে ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) সব উপকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় ফেনী পবিসের ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড জানায়, এই ১১টি সমিতির অধীনে ১৭৪টি উপকেন্দ্রের মধ্যে ২১টি বন্ধ রয়েছে। ৯০৮টি ১০০ কেভি ফিডারের মধ্যে ২০৮টি বন্ধ। বন্যাকবলিত এসব এলাকায় ৫২ লাখ ২৪ হাজার ১০৮ জন গ্রাহকের মধ্যে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৯৬ জন গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।

বন্যাকালীন ও বন্যা-পরবর্তী সময়ে গৃহীত এবং গৃহীতব্য পদক্ষেপ সম্পর্কে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড জানায়, বন্যার সময় প্লাবিত এলাকায় দুর্ঘটনা রোধে প্রতিপালনীয় বিষয়ে সব সমিতিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বন্যাকালীন সমিতির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের নিমিত্তে বিআরইবি'র সদরদপ্তর ও বন্যাকবলিত সমিতিসমূহে ২৪/৭ কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে।

Advertisement

বন্যা-পরবর্তী বিতরণ সিস্টেম পুনর্বহালকালে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিপালনীয়/অনুসরণীয় বিষয়ে সমিতিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বন্যা-পরবর্তী বিতরণ সিস্টেম পুনর্বহালের লক্ষ্যে মালামাল বরাদ্ধ ও পরিবহন করার জন্য সদরদপ্তরস্থ এমপিএসএস ও সিএসএন্ডএম পরিদপ্তর ছুটির দিনসহ সার্বক্ষণিক খোলা রাখা হয়েছে। পুনর্বহাল কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদনের জন্য মাঠপর্যায়ে প্রয়োজনীয় জনবল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়া বন্যা পরবর্তীকালে বিতরণ ব্যবস্থা পুনর্বহাল কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পাদন করার জন্য প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী সমিতি থেকে জনবল সংশ্লিষ্ট করে দ্রুত বিতরণ ব্যবস্থা পুনর্বহাল করা হবে।

এনএস/ইএ/এমএস

Advertisement