বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতারা। নিজেদের বানানো সিনেমা দেখিয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করবেন তারা। নগদ টাকায় টিকিট বিক্রি নয়, বরং সিনেমা দেখিয়ে তারা গ্রহণ করবেন নগদ টাকা, চাল, ডাল, ডিম থেকে বন্যার্ত মানুষের কাজে লাগে এ রকম যে কোনো জিনিস।
Advertisement
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ‘জীবন সংগ্রামের ছবি’ শিরোনামে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন দেশের বেশ কয়েকজন স্বাধীন নির্মাতা। আগামী ৩০ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে এই প্রদর্শনী শুরু হবে। জানা গেছে ৪ ঘণ্টা ধরে দেখানো হবে ১৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা। এই প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত।
নির্মাতা গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমরা সবাইকে আমাদের ছবিগুলো দেখার আহ্বান জানাচ্ছি। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে যা কিছু পাই, সেটা নিয়ে আমরা বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবো। সেটা হতে পারে চাল, ডাল, ডিম কিংবা নগদ অর্থ।’ তিনি আরও বলেন, ‘এর মধ্যে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারাও আমাদের সঙ্গে থাকবেন। তা ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম সোসাইটি সঙ্গেও কথা চলছে। তারাও আমাদের পাশে থাকবে।’
আরও পড়ুন: এখন সিনেমা নয়, দেশের কাজে নামা যায় কি না ভাবছি: মিশা ‘যে যা পারো সাহায্য করো’, লন্ডন থেকে স্বজনদের রোজিনাস্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাগুলো দেখানো হবে চারটি পর্বে। প্রথম পর্বে থাকবে ইভান মনোয়ারের ‘দ্য সাউন্ড ইজ লাউড’ (৩ মিনিট, উদ্বোধনী প্রদর্শনী), ফুয়াদ নাসেরের ‘হাওয়ার টানে’ (৬.২০ মিনিট), গোলাম রাব্বানীর ‘আনটাং’ (১৩.৫০ মিনিট, উদ্বোধনী প্রদর্শনী), এ কে এম জাকারিয়ার ‘ইতি ছালমা’ (৪.২৫ মিনিট), মাশরুর পারভেজের ‘ইউর আইস’ (৮ মিনিট) ও কামরুল আহসান লেনিনের ‘ঘরে ফেরা’ (৩০ মিনিট)।
Advertisement
দ্বিতীয় পর্বে চৈতালি সোমাদ্দারের ‘লাইক আ মুভি’ (৫ মিনিট), আরিফুর রহমানের ‘রোকাইয়া’ (১১ মিনিট), অপরাজিতা সংগীতার ‘ছাড়পত্র’ (২১ মিনিট),জাহিদুর রহমানের ‘ওমর ফারুকের মা’ (৩১ মিনিট)। তৃতীয় পর্বে লিটন করের ‘আইসিইউ’ (১১ মিনিট), রাকায়েত রাব্বীর ‘হাওয়াই মিঠাই’ (১৪ মিনিট), এন রাশেদ চৌধুরীর ‘বিস্মরণের নদী’ (৩৫ মিনিট) এবং চতুর্থ ও শেষ পর্বে দেখানো হবে আমিনুর রহমান মুকুলের ‘কমলাপুরাণ’ (৪৩ মিনিট) এবং মোল্লা সাগরের ‘সাইরেন’ (২০ মিনিট)।
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। বন্যার্তদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। সেই দলে যোগ দিয়েছেন বিনোদন অঙ্গনের তারকা ও নির্মাতারাও। এরই মধ্যে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এমআই/আরএমডি/এএসএম
Advertisement