নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় লাগা আগুন ১৮ ঘণ্টায়ও নেভানো যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট।
Advertisement
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত ফিমেল ফায়ার ফাইটার কাকলি খাতুন।
আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট রাত থেকে কাজ করলেও এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, একাধিক গ্রুপ কারখানায় ঢুকে লুটপাট করে অবশেষে আগুন ধরিয়ে দেয়।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট রাতে বিক্ষুদ্ধ জনতা ও ভুক্তভোগীরা রূপসীর গাজী টায়ার কারখানায় আগুন দেয়। এরপর শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে গাজীর গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে একই কারখানায় দ্বিতীয় দফায় আগুন দেওয়া হয়।
গাজী টায়ার কারখানার অ্যাডমিন অফিসার সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, রোববার বিকেল ৩টার দিকে কারখানার মেইন গেট ও পেছনের গেট দিয়ে দুটি গ্রুপ ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর লুটপাট শুরু করে তারা। একপর্যায়ে কারখানার অভ্যন্তরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এরপর রাত ৯টার দিকে প্লাস্টিকের পলি সেকশনের চারতলা একটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়। পরে রাত ১০টার দিকে কেমিক্যালের গোডাউনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। সেই আগুন এখনো জ্বলছে।
কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম আরও জানান, কারখানাটিতে টায়ার প্রস্তুতের জন্য প্রচুর প্লাস্টিকজাতীয় কাঁচামাল ও দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। তাই আগুনের তীব্রতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এদিকে, কারখানায় নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের কারখানার সামনে আহাজারি করতে দেখা গেছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস রাত ১১টা ৪০ মিনিটে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কারখানায় টায়ার তৈরির কাঁচামাল রাবার, প্লাস্টিকজাতীয় দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।
Advertisement
এসআর/এমএস