অর্থনীতি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরেক দফা বাড়লো নীতি সুদহার

দেশের বিরাজমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার আরেক দফা বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং আন্তঃব্যাংক থেকে ব্যাংকের ধারে ব্যবহারিত উপকরণে সুদ ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়।

Advertisement

এর ফলে এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধারের সুদহার হবে ৯ শতাংশ। আন্তঃব্যাংকে ধারের সর্বোচ্চ সুদহার হবে সাড়ে ১০ আর সর্বনিম্ন সাড়ে ৭ শতাংশ হবে। রোববার (২৫ আগস্ট) মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। গত ৮ মে সবশেষ নীতি সুদহার বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সুদহারের সর্বোচ্চসীমা নির্ধারিত ছিল ৯ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর গত বছরের জুলাই থেকে সুদহার নির্ধারণে প্রথমে ‘স্মার্ট’ পদ্ধতি চালু হয়। স্মার্টের সঙ্গে সরকারি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদের সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার নির্ধারিত হয়ে আসছিল। এতে গত এপ্রিলের সর্বোচ্চ সুদহার উঠেছিল ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

তবে গত ৮ মে আইএমএফের শর্ত মেনে একদিনে অর্থনীতির তিন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই দিন গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, নীতি সুদহার বাড়ানো হয় এবং ডলার দরে ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করে ১১৭ টাকা করা হয়। ডলারের এ মধ্যবর্তী দরের সঙ্গে এক শতাংশ যোগ করে ডলার বেচাকেনার সুযোগ ছিল।

Advertisement

ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর ডলারের ১১৭ টাকা মধ্যবর্তী দরের সঙ্গে আড়াই শতাংশ যোগ করে ১২০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রির সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর ফলে গ্রাহক পর্যায়ে সুদহার আরও বাড়বে। মূলত চাহিদা নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদহার ও ডলারের দর বাড়ানো হয়।

ইএআর/এমএএইচ/এএসএম