আইফোনের সঙ্গে ফোনের একটি চার্জার থাকে। তবে আপনি যদি জরুরি কাজে বাইরে থাকেন বা বাইরে যাবেন আপনার আইফোনে চার্জ নেই। এমন সময় দ্রুত আইফোন চার্জ করা জরুরি হয়ে পড়ে। খুব সহজে আপনি দ্রুত আপনার আইফোনটিকে ফুল চার্জ করে নিতে পারবেন।
Advertisement
তবে আইফোন ল্যাপটপ বা পিসি থেকে চার্জ দিবেন না। অনেকেই ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে কাজ করতে করতে আইফোনে চার্জ দেন। এতে আইফোনের ক্ষতি হতে পারে। টেক বিশেষজ্ঞরা সব সময় পরামর্শ দেন, আইফোন সব সময় আসল চার্জার দিয়ে চার্জ করার জন্য।
ল্যাপটপের চার্জিং ক্ষমতা অ্যাডাপ্টর এবং ওয়্যারলেস চার্জারের তুলনায় অনেক কম। ল্যাপটপে ইউএসবি-এ পোর্ট থাকুক বা ইউএসবি-সি পোর্ট, ওয়াল চার্জারের সঙ্গে এর কোনো তুলনাই হয় না। ফোনের জন্য সঠিক চার্জার ব্যবহার করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ইউএসবি-সি কেবল সহ ২০ওয়াট পাওয়ার অ্যাডাপ্টরের মাধ্যমে আইফোন ১৫-এ সবচেয়ে দ্রুত চার্জ করা যায়। আইফোন ৮ বা তার পরের মডেলের আইফোনে ফাস্ট চার্জারের মাধ্যমে মাত্র আধ ঘণ্টায় ৫০ শতাংশ চার্জ দেওয়া যায়। এক ঘণ্টার মধ্যে ফুল চার্জ হয়ে যাবে।
Advertisement
এমনকি ১০ মিনিটের জন্যও ফোনকে ফাস্ট চার্জে রাখা হয়, তাহলে ব্যাটারির আয়ুও বাড়ে। দ্রুত চার্জ করতে চাইলে এটাই সবচেয়ে ভালো বিকল্প। অ্যাপল এখন আর নতুন আইফোনের সঙ্গে পাওয়ার অ্যাডাপ্টর দেয় না। তবে ২০ ওয়াট অ্যাডাপ্টর অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্ট থেকে কেনা যায়। আইফন ইউজাররা ফাস্ট চার্জিং পাওয়ার ব্রিকস দিয়েও আইফোন চার্জ করতে পারেন। তবে আইফোন ১২ বা তার পরের মডেলগুলোতে দ্রুত চার্জিংয়ের জন্য ২০ ওয়াট অ্যাডাপ্টর প্রয়োজন।
ওয়্যারলেস চার্জিং ব্যবহার করুন। ম্যাকসেফ চার্জার এবং অ্যাপলের ২০ ওয়াট পাওয়ার অ্যাডাপ্টারের মাধ্যমে আইফোন দ্রুত চার্জ করা যায়। অ্যাপল আইফোন ১২ বা তার পরবর্তী মডেলের ইউজাররা ১৫ ওয়াট পর্যন্ত ফার্স্ট ওয়্যারলেস চার্জিং ব্যবহার করে ভালো ফল পেতে পারেন।
এর মানে যদি পুরো চার্জ শেষ হয়েও যায় তাহলেও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাটারি লাইফ পেতে পারেন ইউজাররা। পাশাপাশি এয়ারপ্লেন মোডে রাখলেও দ্রুত চার্জ ওঠে। এই সময় ওয়াইফাই বা নেট বন্ধ রাখতে হবে। এছাড়া ফোনটি যখন চার্জ দিচ্ছে ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন।
আরও পড়ুন আইফোনে শক্তিশালী পাসকোড তৈরি করবেন যেভাবে আইফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়ানোর উপায়সূত্র: অ্যাপল সাপোর্ট
Advertisement
কেএসকে/জিকেএস