স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দি হয়েছিল ফরহাদ খানের পরিবার। পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করে তার নানার বাড়িতে রেখে আসেন। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, সবাইকে বাঁচিয়ে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। পানির স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হন ফরহাদ। পরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
Advertisement
শনিবার (২৪ জুলাই) রাতে স্বজনরা তাকে মিরসরাইয়ের হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের নানা বাড়িতে এনে দাফন করেন। ফরহাদের বাড়ি ফেনী জেলার কালিদহ ইউনিয়নের সিলোনিয়া এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত সিদ্দিক আহম্মদ খানের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেনীর সিলোনিয়ায় যখন পানি বাড়তে থাকে তখন ফরহাদ স্ত্রী ও তিন সন্তানকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের নানার বাড়িতে রেখে আসেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তার চাচাকে আনতে যান ফরহাদ। কিন্তু সেখানে গিয়ে পানির স্রোতে ডুবে যান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার তার মরদেহ পায় স্বজনরা।
ফরহাদের মামা বেলায়েত হোসেন জানান, এলাকায় ফরহাদের গরু ও মুরগির ফার্ম রয়েছে। বন্যায় যখন ফেনীর সিলোনিয়ায় পানি বাড়তে থাকে তখন স্ত্রী ও সন্তানদের মিরসরাইয়ের হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামে নানার বাড়িতে রেখে যান। পরে বাড়ির জেঠাকে আনতে যান ফরহাদ। কিন্তু নিখোঁজ হন তিনি। পরে শুক্রবার ফেনীর সদর হাসপাতালে তাকে পাওয়া যায়। কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় তাকে নানার বাড়িতেও আনতে বিলম্ব হয়। শনিবার রাতে নানার বাড়িতে দাফন করা ফরহাদকে।
Advertisement
এদিকে ফরহাদের পরিবারের চলছে শোকের মাতম। পরিবারের উপার্জক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে সবাই নির্বাক। ছেলে আরাফ খানের চোখে মুখে হতাশার ছাপ। বারবার বাবাকে খুঁজছে সন্তানরা।
এম মাঈন উদ্দিন/এফএ/জিকেএস