গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করলে, গণতন্ত্রের পথে আমরা হাঁটতে না পারলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি হবে। ছাত্র আন্দোলনে নিহত সব শহীদদের খুনিদের ও নির্দেশ দাতাদের আইনের আওতায় আনা হবে যেকোনো মূল্যে।
Advertisement
রোববার (২৫ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামে ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত নিহত শহীদ আশিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনায়েদ সাকি বলেন, এখন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো নির্মাণের পালা। গণতন্ত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা এই শহীদদেরকে যেন স্মরণ রাখি যেটা তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে হয়েছে। তরুণরা জীবন দিয়েছে নতুন একটা বাংলাদেশের জন্য। সেই বাংলাদেশের মানুষ যাতে মানুষের মর্যাদা পায়। আমাদের এই তরুণরা যারা প্রাণ দিয়ে শহীদ হয়েছেন তারা যাতে জাতীয় বীরের মর্যাদা পায়।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার শহীদদের সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করে তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদায় সামনে আনবে। তাদের পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো এটাকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করছি। আগামী দিনের বাংলাদেশ নির্মাণে যাতে এই শহীদদের রক্তের প্রশ্ন এবং আমাদের এত আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই অর্জন এটা যাতে কেউ কোনোভাবে নস্যাৎ করতে না পারে সেই জায়গায় আমাদের থাকতে হবে।
Advertisement
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এফএ/জিকেএস