মা সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। শত দুর্যোগে সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন মা। মায়েদের এই বৈশিষ্ট্য শুধু মানুষের মধ্যেই নয়, আছে পুরো পৃথিবীর সব প্রাণিকুলের মধ্যেই। সন্তানকে বাঁচাতে মায়েরা জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেন। এমনকি কিছু প্রাণি আছে সন্তানকে বাঁচাতে নিজেকেই সন্তানের খাদ্য হিসেবে বিলিয়ে দেয়।
Advertisement
ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটি সত্যি। এটি মূলত প্রাণির হিংস্রতার জন্য নয়, আসলে প্রকৃতির নিয়মেই এমনটা ঘটে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণায় দেখা গেছে স্ত্রী মাকড়সা তার সন্তানদের নিজেকেই খেতে দেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় স্টেগোডিফাস ডুমিকোলা প্রজাতির স্ত্রী মাকড়সার মধ্যে এই স্বভাব দেখা যায়। এই প্রজাতির মাকড়সার সব স্ত্রী মাকড়সা সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। মাত্র ৪০ শতাংশ স্ত্রী মাকড়সা প্রজনন করার সুযোগ পায় কারণ তারা পুরুষদের তুলনায় ধীরে ধীরে পরিপক্ক হয়।
আরও পড়ুনদেশের ইতিহাসে যত প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছেঅনেক স্ত্রী মাকড়সা আছে যারা কুমারী থাকে সারাজীবন। এমনকি স্ত্রী মাকড়সা সন্তান জন্মের পর সন্তানদের বাঁচাতে নিজেকেই খেতে দেয়। এরপর এই বাচ্চাগুলো পালিত হয় কুমারী কোনো মাকড়সার কাছে।
Advertisement
এছাড়া আরেকটি প্রাণি আছে, কাঁকড়াবিছে। বিষাক্ত প্রাণী হিসাবে এই প্রাণীটির কুখ্যাতি আছে এমনিতেই। অনেক ভয়ংকর প্রাণীকেও কাঁকড়াবিছের বিষের কাছে হার মানতে হয়।
কাঁকড়াবিছে একসঙ্গে ১০০ এর বেশি বাচ্চার জন্ম দেয়। বাচ্চারা মায়ের পিঠের উঠে চলাচল করে অন্যান্য শিকারিদের থেকে বাঁচার জন্য। এই সময় বাচ্চারা মায়ের মাংস খেয়েই বেঁচে থাকে। খোলসের ভেতরে যতক্ষণ না সম্পূর্ণ মাংস শেষ হয়ে মায়ের মৃত্যু হয় ততক্ষণ খেতে থাকে।
মায়ের সব মাংস খেয়ে ফেলার পরেই বিচ্ছুরা তার পিঠ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনভাবে বসবাস শুরু করে। এরা সাধারণত পোকামাকড় এবং অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণিদেরও শিকার করে। তারা শিকারকে সংযত করতে এবং হত্যা করতে বা শিকারীদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করতে তাদের দুটো হাত ব্যবহার করে। যা দেখতে পিন্সারের মতোই।
আরও পড়ুনসাপের উপদ্রব থেকে কীভাবে রক্ষা পাবেনবাংলার ৫ লাখ মানুষ মারা যায় ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়েসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফি, নিউজ১৮
Advertisement
কেএসকে/জেআইএম