দেশজুড়ে

গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে বানভাসিরা

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে বন্যাকবলিত বেশিরভাগ মানুষ গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। নিজেদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই মিললেও কোথায়ও ঠাঁই মিলছে না গৃহপালিত গরু-ছাগলের। অনেকেই শখের পশু নিয়ে ছুটছেন অজানা গন্তব্যে। সন্ধান করছেন নিরাপদ আশ্রয়ের। কেউ কেউ ট্রাক ভাড়া করে পশু নিয়ে ছুটছেন দূর গন্তব্যে স্বজনদের বাড়িতে।

Advertisement

সরেজমিনে বুড়িচং উপজেলার আজ্ঞাপুর গ্রামে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

সেখানে কথা হয় কৃষক মনু মিয়ার সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, কৃষিকাজের পাশাপাশি তিনটি গরু পালন করেছি। হঠাৎ করে গ্রামে পানি ঢুকে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। শেষ সম্বল ৩টি গরু। আমার স্বপ্ন এখন এদের নিয়ে। যেকোনো ভাবেই হোক এদের বাঁচাতে হবে।

এখন এদের কোথায় নিবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, জানি না কোথায় নেবো। আপাতত উঁচু কোনো স্থানে নিয়ে রাখবো। পরে গাড়ি দিয়ে নিরাপদ কোনো স্থানে নিয়ে যাবো।

Advertisement

বাকশিমূল গ্রামের আবু সায়েম রনি জাগো নিউজকে বলেন, গ্রামে বুক সমান পানি। সবকিছু চোখের সামনে তলিয়ে গেছে। শুধু দুইটি গরু নিয়ে বের হয়েছি। এখন এগুলো ট্রাকে করে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাবো।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মধ্যরাতে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুরবুড়িয়া এলাকার গোমতী বাঁধের একটি অংশ ধসে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে। এতে শনিবার সকাল পর্যন্ত বুড়িচং উপজেলায় প্রায় অধিকাশ গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। শুক্রবার রাত থেকে কালিকাপুর, বাকশিমূল এবং আজ্ঞাপুরসহ আশপাশের ১০-১৫টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।

জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/জেআইএম

Advertisement