অভিবাসনকেন্দ্রগুলোতে এমপক্স সংক্রমণ প্রতিরোধের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম। আফ্রিকার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে এই রোগে শিকারদের সহায়তায় ১ কোটি ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার চেয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাটি।
Advertisement
এমপক্স নিয়ে বিশ্বব্যাপী জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণার পর আইওএম জানিয়েছে, অভিবাসী সম্প্রদায়- যাদের সংঘাতসহ নানা কারণে স্থানান্তরিত হতে হচ্ছে, তারা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন।
আরও পড়ুন>>
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এমপক্স ভাইরাস এমপক্স কী? কীভাবে ছড়ায় ও এর লক্ষণগুলো কী? এমপক্স প্রতিরোধে ভারতে সতর্কতা জারিআইওএম’র মহাপরিচালক এমি পোপ বলেন, পূর্ব আফ্রিকা, হর্ন অব আফ্রিকা ও দক্ষিণ আফ্রিকায় এমপক্সের সংক্রমণ গভীর উদ্বেগের ব্যাপার। বিশেষ করে অরক্ষিত অভিবাসী, ভ্রাম্যমান জনগোষ্ঠী এবং বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায় প্রায়ই এ ধরনের সংকটের সময় উপক্ষিত হয়।
Advertisement
অপর্যাপ্ত জীবনমান এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিকূলতা বৈশ্বিক জরুরি পরিস্থিতিতে অভিবাসীদের সংকট বাড়িয়ে তোলে বলে মনে করে আইওএম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সকে অর্থোপক্স ভাইরাস হিসেবে বর্ণনা করেছে। এর লক্ষণ স্মলপক্সের মতোই, তবে তুলনামূলকভাবে কম মারাত্মক।
প্রাণী থেকে মানবদেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। সাধারণত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইনফরেস্ট অঞ্চলগুলোতে এর সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। কাঠবিড়ালি, ইঁদুর, বানরসহ বিভিন্ন প্রাণীর দেহে এই ভাইরাস দেখা গেছে।
ভাইরাসটি মানবদেহে সংক্রমিত হতে পারে। শারীরিক তরল, ত্বকে, মুখে বা গলায় থাকা ক্ষত, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় নির্গত ফোঁটা এবং দূষিত বস্তুর মাধ্যমে এমপক্স ছড়াতে পারে।
Advertisement
এই রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, গা ব্যাথা, লম্প নোড ফুলে ওঠা, ফুসকুড়ি এবং ব্যাক পেইন।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টসকেএএ/