দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যাদুর্গতদের উদ্ধার, নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসাসেবা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। চিকিৎসাসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন করে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার, স্থলপথ ও স্পিডবোটের মাধ্যমে মোট ১২ হাজার ৬১৫ প্যাকেট ত্রাণ বন্যাদুর্গতদের মাঝে বিতরণ করেছে।
পাশাপাশি বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসাসেবা বাড়াতে নতুন করে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ৬টি মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে।
Advertisement
এছাড়াও, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত ১৬টি স্পিড বোট সংযোজন করা হয়েছে।
শনিবার ২১টি হেলি সর্টির মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। দিনব্যাপী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৯ জন রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় সেনাবাহিনীর ৫টি হেলিকপ্টার (২টি এমআই, ২টি বেল ও ১টি ডওফিন), বিজিবির ১টি এমআই হেলিকপ্টার এবং র্যাবের ২টি বেল হেলিকপ্টার মোতায়েন রয়েছে।
এছাড়া আনম্যান্ড কম্ব্যাট এরিয়াল ভেহিক্যালের (ইউসিএভি) মাধ্যমে বন্যাদুর্গতদের অবস্থান চিহ্নিত করে ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ সেলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
Advertisement
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলের উপযোগী রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দুটি ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি ওই ব্রিগেডগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত গোমতি নদীর বাঁধ রক্ষায় নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জাতির আস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
টিটি/এমকেআর