জাতীয়

সেনাবাহিনী-বিজিবি-র‍্যাবের ৮ হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক মোতায়েন

বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় ৮টি হেলিকপ্টার মোতায়েন রয়েছে। এরমধ্যে সেনাবাহিনীর ৫টি (দুটি এমআই, দুটি বেল ও একটি ডওফিন), বিজিবির একটি এমআই হেলিকপ্টার এবং র‍্যাবের দুটি বেল হেলিকপ্টার মোতায়েন রয়েছে।

Advertisement

শনিবার (২৪ আগস্ট) দিনব্যাপী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৯ জন রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, শনিবার ২১টি হেলি সর্টির মাধ্যমে উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। দিনব্যাপী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ১৯ রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার, স্থলপথ ও স্পিডবোটের মাধ্যমে মোট ১২ হাজার ৬১৫ প্যাকেট ত্রাণ বন্যাদুর্গতদের মাঝে বিতরণ করেছে।

পাশাপাশি বন্যাদুর্গত এলাকায় চিকিৎসাসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন করে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ছয়টি মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে।

এছাড়াও উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত ১৬টি স্পিডবোট সংযোজন করা হয়েছে।

বন্যার্তদের চিকিৎসাসেবা বাড়াতে নতুন করে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

আইএসপিআর আরও জানায়, আনম্যান্ড কম্ব্যাট এরিয়াল ভেহিক্যালের (ইউসিএভি) মাধ্যমে বন্যাদুর্গতদের অবস্থান চিহ্নিত করে ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ সেলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলের উপযোগী রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দুটি ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি ওই ব্রিগেডগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত গোমতি নদীর বাঁধ রক্ষায় নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে।

বন্যাদুর্গত এলাকায় মোবাইল সংযোগ সচল করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বেসামরিক মোবাইল কোম্পানিগুলো টাওয়ার মেরামতের কাজ চলমান রেখেছে।

বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জাতির আস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলেও জানায় আইএসপিআর।

টিটি/এমকেআর