দেশজুড়ে

ডাকাতির ভয়ে বসতি ছাড়ছেন না পানিবন্দিরা

গোমতী নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা। এতে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বন্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে বহু গ্রাম। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বন্যার পানি। এতে পানিবন্দি রয়েছেন লাখো মানুষ। এদের মধ্যে ডাকাত আতঙ্কে অনেকেই বসতি ছাড়তে নারাজ। সম্পদ বুকে নিয়ে শত ঝুঁকির মধ্যেও রয়েছেন নিজ ঘরে। উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে করছেন বাগবিতণ্ডা।

Advertisement

শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার আজ্ঞাপুর গ্রামে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

আজ্ঞাপুর মসজিদের সামেন কথা হয় তরুণ স্বেচ্ছাসেবক আল-আমীনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই গ্রামে সকাল থেকে বন্যার পানি বাড়তে শুরু করেছে। খবর পেয়ে আমরা কুমিল্লা শহর থেকে ১০ জনের একটি উদ্ধার টিম এখানে এসেছি। সকাল থেকে ১৫টি পরিবারকে উদ্ধার করে মোশের্দা বেগম বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। দুঃখের বিষয় হলো, নিজ বসতি ছেড়ে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র যেতে চাচ্ছেন না। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন। তাদের দাবি, মধ্যরাতে ডাকাত এসে সব নিয়ে যাবে।’

পানিবন্দি আজ্ঞাপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের (৬৫) কাছে বাড়ি না ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাড়ি ফেলে দিয়ে গেলে ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাত এসে নিয়ে যাবে। এরইমধ্যে বাকশিমুল, হরিপুর এবং খোদাইধুলীতে ডাকাতি হয়েছে। শুক্রবার রাতে ডাকাত আসায় গ্রামে মাইকিং করা হয়েছে। তাই বাড়ি ছাড়ছি না।’

Advertisement

পানিতে ঘর ডুবে গেলে তখন কী করবেন—জানতে চাইলে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘তখনতো জান বাঁচানোর জন্য বের হতেই হবে। আরও একটু দেখি না, কী হয়।’

জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/জেআইএম