জাতীয়

আদর্শের আয়োজনে ‘নিষিদ্ধ’ তিন লেখকের আলোচনা-আড্ডা

বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বিভিন্ন দিক-নির্দেশনামূলক বিষয় নিয়ে আদর্শ প্রকাশনীর আয়োজনে ‘আলোচনা ও আড্ডা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নেন ২০২৩ সালের বইমেলায় বাংলা একাডেমি কর্তৃক নিষিদ্ধ ৩ লেখক।

Advertisement

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমির আব্দুল করীম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি হয়।

অনুষ্ঠানে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভবিষ্যৎ’ বিষয়ে আলোচনা করেন লেখক ফাহাম আবদুস সালাম, ‘বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অর্থনীতির রূপান্তর’ বিষয়ে আলোচনা করেন লেখক জিয়া হাসান এবং বক্তব্য রাখেন আরেক লেখক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লেখক এহসান মাহমুদ, সালাহ উদ্দিন শুভ্র, মাহবুব মোর্শেদ এবং প্রকাশক মাহাবুর রাহমান।

লেখক ফাহাম আবদুস সালাম বলেন, বাংলাদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদ চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যর্থতার অনেক কারণ আছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ শুরু থেকেই মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জাতীয়তাবাদে এমন একজন মানুষকে দেবতার আসন দেওয়া হয়েছে যিনি নিজে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে ছিলেনই না। বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে আলাদা আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হয়।

Advertisement

তিনি বলেন, কিছু নির্দিষ্ট বিষয় মানুষকে করতেই হবে, না হলে সে বাঙালি হতে পারবে না। এমন ধারণা নিয়ে কখনো সহাবস্থান সৃষ্টি হয় না। কেউ সেসব বিষয় না মানলে মনে করা হয়েছে, তারা সহীহ বাঙালি না। এই জাতীয়তাবাদ সবাইকে সবার মতো করে এক হতে দেয়নি। এগুলো ছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে। মূল কথা, বাংলাদেশে কোনো জাতীয়তাবাদই টিকতে পারবে না।

লেখক জিয়া আহসান তার বক্তব্যের শুরুতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শাহাদৎ বরণকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে স্বৈরাচার আমলে অর্থনীতিতে ৭টি বড় ড্রাইভারের কারণে মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এটি আমার গবেষণা, অনেকের দ্বিমত থাকতে পারে। সামনের দিনে আমাদের অর্থনীতি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তবে আমি মনে করি, এই সমস্যা সমাধানের যোগ্য।

এসময় তিনি অর্থনীতির সমস্যা সমাধানে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো, প্ল্যান মাফিক সরকারের আকার কমানো, আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেন।

বক্তব্যে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আমাদের স্বাধীনতার সুফল দলমত নির্বিশেষে, পাহাড় কিংবা সমতলে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নকে সাসটেইনেবল করার জন্যে এখন উপযুক্ত সময়। এ কাজটি আমাদের করতে হবে। পাশাপাশি মত প্রকাশ ও মুক্তচিন্তার বিকাশে কাজ করতে হবে।

Advertisement

এমএইচএ/এমএইচআর/জেআইএম