অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে উঠতি প্রতিভা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত বোলার- কেউ বাদ যায়নি নিষিদ্ধ হওয়ার কবলে পড়তে হচ্ছে। স্পিনাররাই সবচেয়ে বেশি এই সমস্যায় পড়ছেন। আবার মাঝে-মধ্যে দু’একজন পেসারও পড়ছেন এই সমস্যায়। যাদের মধ্যে বাংলাদেশের আল-আমিন হোসেন এবং তাসকিন আহমেদ অন্যতম।বোলিং অ্যাকশণ অবৈধ থাকার কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন কিছুদিন আগেও বিশ্বসেরা স্পিনারের তকমা পাওয়া সাঈদ আজমল। পরে তিনি যখন অ্যাকশন বদলান, তখন দেখা গেলো সেই ভয়ঙ্কর স্পিনার আজমল আর নেই। তিনি হয়ে গেলেন ‘সাদামাটা’। ফলে দল থেকেও এক সময় আজমলকে বাদ দিতে বাধ্য হলেন পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। একইভাবে বোলিং করতে পারছেন না মোহাম্মদ হাফিজও।এটা পাকিস্তানের জন্য একটা বড় বিপর্যয়। এই বিপর্যয়ের মুখোমুখি যাতে ভবিষ্যতে হতে না হয়, সে জন্য এখনই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এ লক্ষ্যে লাহোরে পিসিবি নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে একটি বায়োমেকানিক্যাল ল্যাব। তবে এই ল্যাবটি প্রতিষ্ঠা করতে তারা সহযোগিতা নিচ্ছে লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সের (এলইউএমএস)। পিসিবি লাহোরের এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার মূল্যের কিছু যন্ত্রপাতিও দিচ্ছে বায়োম্যকানিক্যাল ল্যাব স্থাপন করার জন্য। যেগুলো আবার গত আট বছর ধরে পিসিবির জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মূল কার্যালয়ে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।পিসিবির এই উদ্যোগের ফলে উঠতি বোলারদের অ্যাকশন ঠিক করে সঠিক নির্দেশনা দেয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সমস্যা হচ্ছে এলইউএমএস কিংবা পাকিস্তানের অন্য কোন ইনস্টিটিউট এ ধরনের বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষায় অভিজ্ঞ নয়। যে কারণে পিসিবি মনে করছে, অচীরেই নতুন ইতিহাস রচনা করতে যাচ্ছে পাকিস্তান।বায়োমেকানিক্যাল সেন্টারটি স্থাপন হয়ে গেলে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা এখন আর চেন্নাই, কার্ডিফ কিংবা অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার সেন্টারগুলোতে দৌড়াতে হবে না। আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লেখানোর আগেই বোলাররা পরিশুদ্ধ হয়ে যেতে পারবেন বলে বিশ্বাস করছে পিসিবির কর্মকর্তারা।আইএইচএস/এবিএস
Advertisement