দেশজুড়ে

কসবা-আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

কমতে শুরু করেছে হাওড়া নদীর পানি। ফলে উন্নতি হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় হাওড়া নদীর পানি আরও ৮ সেন্টিমিটার কমেছে।

Advertisement

এছাড়া সালদা নদীর পানি কমতে থাকায় উন্নতি হয়েছে কসবার বন্যা পরিস্থিতি। তবে বন্যার পানিতে বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও বাধ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে এখনো বেশ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্ধ রয়েছে আখাউড়া স্থলবন্দর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে গত বুধবার আখাউড়ায় বন্যা হয়। এতে উপজেলার বঙ্গেরচর, কালিকাপুর, বাউতলা, আড়িয়ল ও খলাপাড়াসহ ৪০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার বন্যার পানি বেড়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। তবে ঢলের পানির বেগ কমায় এবং বৃষ্টি না হওয়ায় কমতে থাকে পানি। শনিবার সকাল থেকে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়। এরই মধ্যে বেশিরভাগ বাসাবাড়ি থেকে পানি সরে গেছে।

তবে বন্যার কারণে আড়িয়ল ও খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর দুটি বাঁধসহ অন্তত ৮টি স্থানে সড়ক ধসে পড়ে। এতে ওইসব সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া পানি সরে গেলেও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এখনো বন্ধ রয়েছে আখাউড়া স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। পাশাপাশি আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়েও যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

এদিকে, কসবা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। তবে পানিতে প্লাবিত হয়েছে ২৬টি গ্রাম। এসব গ্রামে জলাবদ্ধতা রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর আহমেদ জানান, বর্তমানে আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। হাওড়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হাওড়া নদীর গঙ্গাসাগর পয়েন্টে পানির সমতল রয়েছে ৫.৫১ মিটার।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি জানান, আখাউড়ার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। দ্রুত ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও সড়ক মেরামত করে যান চলাচল এবং স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হবে।

আবুল হাসনাত মো৷ রাফি/জেআইএম

Advertisement